বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে কমিশন গঠনের কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সাক্ষ্য প্রমাণসহ কমিশন তাদের প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করবে।
মন্ত্রী জানান, পলাতক ৫ খুনীকে ফিরিয়ে আনতে আইনি লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সাবেক বিচারপ্রতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিকের মতে, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে আনতে কুটনৈতিক তৎপরতা আরো জোরদার করা উচিৎ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের বাসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে স্বপরিপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। সে ঘটনায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১২ খুনীর মধ্যে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলেও এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে ৫ জন। আর পলাতক অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের।
বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনীদের মধ্যে আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের কোন হোদিস মেলেনি আজও। তবে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরীর কানাডায় থাকলেও তাদের আজও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
আইনমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে জেনারেল জিয়া ও খন্দকার মুশতাক জড়িত ছিলো। কমিশন গঠনরে মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রমাণসহ জাতির সামনে তা উপস্থাপন করা হবে।
আর সাবেক বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলছেন, খুনিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে আসামি বিনিময় চুক্তি থাকতে হয়। এছাড়া তাদের দেশে আনতে কুটনৈতিক তৎপরতার ঘাটতি রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
বলেন, পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি, এই খুনের কুশিলবদের মুখোশ জাতির সামনে তুলে ধরা জরুরি।