মাদ্রিদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে কোরআন তিলওয়াত, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার বিকাল ৫:৩০ ঘটিকার সময় পবিত্র কোরআন তিলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়।আলোচনা সভায় শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভায় মান্যবর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি বলেন যে সরকার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে প্রতিবছর তাঁর জম্মদিনকে রাসেল দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি উদ্যােগ।
তিনি তাঁর বক্তব্যে শেখ রাসেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিশু কিশোর ও তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিশু কিশোরকে অভিনন্দন জানান। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে রাসেলের নামটি বঙ্গবন্ধু নিজেই রেখেছিলেন তাঁর প্রিয় ব্যাক্তিত্ব বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নাম। তিনি আরো বলেন যে ১০ বছর ১০ মাসের সংক্ষিপ্ত জীবনে শিশু রাসেল মানবিকতা ও সহপাঠিদের সাথে সহানুভূতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
শৈশবকালে শিশু রাসেল স্কুলে চকলেট খাওয়ার সময় সকল শিশুকে চকলেট বিতরণের পর নিজেই চকলেট খেতেন।
বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিক কারনে দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকার জন্য শিশু রাসের পিতার সান্নিধ্য ও আদর যত্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কাল রাতে শিশু রাসেল মুক্তি চেয়েছিলেন এবং জার্মানিতে তাঁর বড় বোন হাসু আপা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ) কাছে চলে যেতে ঘাতকদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু ঘাতকরা শিশু রাসেলের আবেদনে কর্ণপাত না করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো।
রাসেল আজ দেশের আনাচে কানাচে এক মানবিক সত্ত্বা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মাঝে।দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে রাসেল এক ভালোবাসার নাম।
তিনি আরো বলেন যে শিশুদেরকে শৈশব থেকেই শিক্ষা দীক্ষা, সততা, দেশ প্রেম সৎ চারিত্রিক গুনাবলীর মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের মাঝে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।