শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে অগণিত বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি সেনারা। মুক্তিযুদ্ধের সময় কতজন বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছিলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও হয় নি তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা। গণহত্যা দিবসও পায় নি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। শাস্তি পায় নি বুদ্ধিজীবীদের সকল হত্যাকারী।
পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার নীলনকশা এঁকেছিল পাকিস্তানিরা। সেই ষড়যন্ত্রে মদদ দিয়েছিল রাজাকাররা। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েকদিন আগে রাজাকাররা বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যেতে থাকে। তুলে দিতে থাকে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে। ১৪ই ডিসেম্বর সর্বোচ্চ সংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে বন্দী করে তারা। পরে রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে পাওয়া যায় অগণিত বুদ্ধিজীবীর লাশ। আবার অনেকের লাশ মেলেনি।
শহীদ বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার জানান, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আলবদর কমাণ্ডার মঈনুদ্দিন যুক্তরাজ্যে ও আশরাফুজ্জামান খান যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করার আহবান জানিয়েছেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বজনরা।
একাত্তরের ২৫শে মার্চ থেকে বাহাত্তরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত শহীদ হওয়া সকল বুদ্ধিজীবীর তালিকা করার আহবান জানান শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনির চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনির।
২০২২ সালের ২৬শে মার্চের মধ্যে তালিকা সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়াও গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়া হলে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা যাবে বলে মনে করেন শহীদদের স্বজনেরা।
ত্রিশ লাখ শহীদের জীবনের বিনিময়ে পাওয়া বিজয়ের সূর্য আজ বাংলার আকাশে। এই সূর্যের গৌরব রক্ষা করার দায়িত্ব দেশের সবার।