নেই শিক্ষক, সংকট আছে পর্যাপ্ত বইয়েরও। সরকারের শিক্ষানীতিতে লেখা আদিবাসীদের মাতৃভাষা শিক্ষা তাই কেবল কাগজে কলমেই বন্দি। ফলে বেশিরভাগ আদিবাসী শিশু নিজেদের বর্ণমালাই চেনে না। এক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান সংশ্লিষ্টদের।
ছোট্ট সোনামণিদের কেউ পড়ছে ইংলিশ মিডিয়ামে। কেউ বাংলা মাধ্যমে। কোন ক্ষেত্রেই নিজেদের মাতৃভাষার বই পড়ার সুযোগ নেই। তাই দেশের ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বেশিরভাগ শিশুই লিখতে-পড়তে পারছে না তাদের মায়ের ভাষায়। অনেকের বাড়িতে নিজেদের ভাষার বইও মেলা ভার।
২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, সাঁওতালি ও সাদরি এই ছয়টি ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর কথা বলা হয়। কিন্তু সাঁওতালি বর্ণমালা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তাই ২০১৭ সালে সাঁওতালি ছাড়া বাকি পাঁচটি ভাষার বই শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের হিসেবে, দেশে ৫৪টিরও বেশি জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। যাদের সংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি। তাদের ভাষাতেও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দাবি এইসব সম্প্রদায়ের মানুষের।
এদিকে পাঁচটি ভাষায় আদিবাসী শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিদ্যালয়গুলোতে নেই সেই ভাষার দক্ষ শিক্ষক, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেক ভাষার নেই নিজস্ব বর্ণমালাও।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বই কে পড়াবে, কখন পড়াবে এ নিয়ে গত চার-পাঁচ বছরে কোন নীতিমালা প্রণয়ন হয়নি। এছাড়া নতুন কোন শিক্ষকও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। একটা বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৪১টি ভাষা রয়েছে। যার মধ্যে ৩৪টি ভাষাই ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর।