দেশের হাওর এলাকায় আবারও অকাল বন্যার সম্ভবনা দেখছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে দেশের হাওরে আরেকটি ঢল আসার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণেও এমন পূর্বাভাসের কথা বলা হয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা গত কয়েক দিনের পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের হাওরের প্রায় ৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির ফসলে পানির নিচে।
এবার ধান কাটার প্রায় শেষ মুহূর্তে হাওর ভেসে যাওয়ায় চাপা কান্না বিরাজ করছে কৃষকের মুখে। অনেকেই বাঁধ এলাকাই নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। ফসল রক্ষায় বাঁধ মেরামত করে পানি ঠেকাতে আপ্রাণ চেষ্টা কৃষক, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে বাংলাদেশের উজানে ভারতের আসাম, মেঘালয়সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই রকমের পূর্বাভাস দিয়ে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে হাওরে আরেকটি ঢল আসার শঙ্কা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ বেনজীর আলম জানান, হাওরে যে পানি প্রবেশ করেছে তাতে ফসল নষ্ট হলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০ কোটি টাকা। আবার ঢল নামার আগে বাঁধগুলো মেরামত করা না গেলে ক্ষতি আরও বাড়বে বলে শংঙ্কা তার।
দেশের খাদ্যশস্যের একটি বড় জোগান আসে হাওর থেকে। তাই বাঁধ নিয়ে শঙ্কা বোরো ফসল না তোলা পর্যন্ত কাটছে না কৃষকেরা।