ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনেও রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবার দেয়া হচ্ছে ৩০ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। সকাল আটটায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
কমলাপুরে একযোগে ১৮টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
এর মধ্যে দুটি নারী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, চাহিদা অনুযায়ী টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। অনলাইনে টিকিট খুঁজে বিফল হওয়া যাত্রীরা বলছেন, সকালে সার্ভার চালু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই দেখা গেল টিকিট নেই। বাধ্য হয়ে কমলাপুরে এসেছেন তারা। কাউন্টার থেকে এক ব্যক্তি চারজনের টিকিট কাটতে পারছেন। তবে এর জন্য প্রত্যেক যাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে হচ্ছে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানান, ঈদ উপলক্ষে অনেক মানুষ ট্রেনে বাড়ি যেতে চাওয়ায় টিকিট কাটতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, আন্তঃনগর ট্রেনে প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য রয়েছে ২৭ হাজার ৭৫৩টি টিকিট। আর কমিউটারে আরও ২৫ হাজারের মতো টিকিট রয়েছে। ফলে ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৫৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে পারবেন।
তবে সবাই যদি ট্রেনে করে বাড়ি যেতে চান সেটা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঈদ উপলক্ষে মানুষের চাপ হবে এটা জেনেই আন্তঃনগর ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া দুটি স্পেশাল ট্রেনও সংযোজন করা হয়েছে, যেটি ২৯ এপ্রিল থেকে চলাচল করবে বলে জানান মাসুদ সারওয়ার।