লড়াইটা ছিল ইউরোপের সেরা বনাম লাতিন আমেরিকার সেরা দলের। শেষ হাসি লাতিন আমেরিকারই। গতকাল বুধবার কোপা আমেরিকা বিজয়ী আর্জেন্টিনা ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিল ইউরো কাপ বিজয়ী ইটালিকে। কোপা আমেরিকার পর আবার দেশের হয়ে ট্রফি জিতলেন লিয়োনেল মেসি। ছুঁয়ে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে।
অভিজ্ঞতা, পরিসংখ্যান, ইতিহাস, কিংবা সাম্প্রতিক ফর্ম, যেটাই বলুন, হয়েছে সেটাই। যেটার অপেক্ষায় ছিলো লাখো কোটি আর্জেন্টাইন ফুটবল প্রেমীরা। বছরখানেক আগে যে মাঠে ইউরো জয়ের উৎসব করেছিল ইতালি, সেখানে হতাশায় নিমজ্জিত দলটি আবারো হতাশ করলো সমর্থকদের। আর আক্রমণাত্মক ফুটবলে পুরোটা সময়ই আধিপত্য করে ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে আলবেসেলেস্তেদের মুকুটে যোগ হলো নতুন পালক, আর সেখানে নক্ষত্রের মতো উজ্জল লিওনেল মেসি।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফিনালিসিমা শিরোপা লড়াইয়ে শুরুটা ছিলো খানিকটা সাদামাটা। প্রথম ২০ মিনিটে দুই দলের একটি করে হাফ-চান্স, স্কোরলাইন ০-০। ম্যাচের ২৮ মিনিটে মেসির নৈপুণ্যে লিড আর্জেন্টিনার। গোলদাতা মার্টিনেজ, তবে মেসি কেড়ে নিয়েছিলেন প্রাচ্যের সবটুকু আলো।
বিরতির আগে মার্তিনেসের পাস ধরে দারুণ গোলে ব্যবধান বাড়ান দি মারিয়া। বিরতি থেকে ফিরে কি করেননি মেসি? প্রতিপক্ষের জালের একের পর এক আক্রমণ, ডিফেন্স থেকে বল কেড়ে নিয়ে পুরো মাঠে আধিপত্য করা, ইতালির ডিফেন্সের মেরুদণ্ড ভাঙ্গবার জন্য এর বেশী কিছু করার ছিলো না কারোরই যেটা মেসি করেছেন।
ম্যাচ শেষের অতিরিক্ত সময়ে আবারো মেসি ম্যাজিক। মাঝ মাঠ থেকে দারুণ গতিতে উঠে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে বলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন মেসি। দিবালা করেননি ভুল, নিশ্চিত করেছেন ৩-০ গোলের জয়।
২০১৯ সালের জুলাই থেকে কোনো ম্যাচ না হারা দলটি এই নিয়ে টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত রইল। আর যারা গত বছর কোপা আমেরিকা জিতে ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়েছিরো এবার তারাই ১ বছরের মধ্যে জিতলো দুটো শিরোপা। আর তাই কিয়েল্লিনির শেষটা হলো হতাশায়। এই ম্যাচ দিয়েই ইতালির হয়ে সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ১১৮ ম্যাচ খেলা এই ডিফেন্ডার।।