আজ আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে ঘরের দলিল হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হচ্ছে ১ লাখ ৭৭ হাজার পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই। কোথাও ভাড়াবাড়িতে অথবা আশ্রিত থাকা মানুষগুলোর নতুন ঠিকানা এখন জমির মালিকানাসহ সরকার থেকে দেয়া আশ্রয়ণের ঘর। নানামুখী কাজে যুক্ত হয়ে এসব ঘরের বাসিন্দারা এখন শুরু করেছেন অর্থনীতির মূলধারায় যুক্ত হওয়ার সংগ্রাম।
জীবন যুদ্ধের বাঁকে বাঁকেই সংগ্রাম আর সবকিছু হারানোর গল্প এই মানুষগুলোর। বসতভিটা, চাষের জমি থেকে শুরু করে সুখের সংসার ছিল এদের অনেকেরই। বহুদিন আগেই তা কেড়ে নিয়ে মানুষগুলোকে নিঃস্ব করে দিয়েছে মেঘনার কড়াল গ্রাস। তাই এদের এখন জায়গা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া আশ্রয়নের সেমি পাকা এসব ঘরে।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরঠিকা গ্রামের জয়বাংলা আশ্রয়ন প্রকল্পের ২৭০টি পরিবারের প্রতিটি ছিন্নমূল থেকে আজ ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প রয়েছে। ঘরের বারান্দায় ওষুধ ও মুদি দোকানীর একই জেলার পূর্ব চর সীতা গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পে মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত হওয়া মানুষগুলোর জীবন সংগ্রামের গল্পটাও প্রায় অভিন্ন। হাঁস-মুরগি পালন আর পাশের মেঘনায় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকেই।
তাদের মধ্যে একজন মো. সাহেদ। এক বছর আগে দুই ডেসিমেল জায়গার মালিকানাসহ মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়া মানুষগুলো সমাজের মূলধারায় যুক্ত হতে এখন আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর নানা কাজে যুক্ত হচ্ছেন।