সাফ চাম্পিয়ানশীপে শিরোপা জয়ী নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার তার নিজ জেলা সাতক্ষীরায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ভোর ৬ টার দিকে প্রাইভেটকারে সাতক্ষীরায় পৌঁছান। এসময় সাবিনার নিজের হাতে গড়ে তোলা একাডেমি ওরিয়ন স্পোর্টস তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং ওরিয়ন স্পোর্টস একাডেমির পক্ষ থেকে সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরা সার্কিট ইউজে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পরে পিকআপ ভ্যানে বাদ্য বাজিয়ে সাতক্ষীরা শহর প্রদক্ষিণ করা হয়। এ সময় হাত নেড়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাতক্ষীরাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সাতক্ষীরার সবুজবাগের বাসিন্দা সাবিনা খাতুন ২০০৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ফুটবলে পা রাখেন। ২০০৯ সালে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। সাবিনার উঠে আসার পেছনে স্থানীয় কোচ আকবার আলীর অবদানই বেশি বলে জানান তিনি।
সাবিনা খাতুন বলেন, ফুটবলার হিসেবে আমার এই পর্যায়ে উঠার পেছনে আকবার স্যারের বড় অবদান রয়েছে। তাই তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ২০০৯ সালে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ আসে আমার। এরপর ২০১৬ সালে আমি দলের অধিনায়ক হই।
আকবার আলী মারা গেছেন ৩ মাস আগে। শহরের চালতে তলা এলাকায় জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি। সাবিনার হাতে খড়ি সেই প্রতিষ্ঠান থেকে। খেলার প্রতি সাবিনা খুব মনোযোগী ছিলেন। প্রতিদিন মাঠে যেতেন তিনি। তার এই সাফল্যে খুশি ছোট বেলার কোচ আকবার আলীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার।
রেহেনা আক্তার বলেন, স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল একদিন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী হবে। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হল।
এখানেই থেমে থাকতে চান না বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা। তার আগামীর লক্ষ্য আসিয়ান গেমসে চ্যাম্পিয়ন হওয়া।
আগামীকাল শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাবিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।