বিশ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর মিশনে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে ব্রাজিল। প্রথম দাপ হিসেবে শেষ ষোলোর টিকিট কাটতে চায় সেলেসাওরা। এ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১০টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।
তবে ব্রাজিলকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত সুইসরা। ক্যামেরুনকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা সুইসদের প্রত্যাশা ব্রাজিলকে হারিয়ে সবার আগে শেষ ষোলো নিশ্চিত করা।
এর আগে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে ব্রাজিল। ম্যাচে ব্রাজিলের আক্রমণভাগ প্রশংসা কুড়িয়েছে। তবে দিন শেষে ব্রাজিলের হতাশার কারণ নেইমারের চোটে পরা। চোটে পরেছেন দানিলোও। ফলে কিছুটা হলেও নির্ভার থাকতে পারবে সুইসরা। তবে আক্রমণভাগে বিশ্বখ্যাত একঝাঁক তরুণ ফুটবলার থাকায় খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ব্রাজিলেরও।
তবে সুইসদের সাহসী করছে দু’দলের সবশেষ ম্যাচের ফলাফল। ২০১৮ বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের গ্রুপসঙ্গী হয়েছিল সুইজারল্যান্ড। যেখানে ব্রাজিলকে জিততে দেয়নি তারা। ড্র’নিয়ে শান্ত থাকতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। এর আগেও বিশ্বকাপে দেখা হয়েছে দু’দলের। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের বিপক্ষে ২-২ গোলের ড্র’ করেছিল সুইসরা। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিতে চাইবে সুইসরা। তবে ব্রাজিলও জয়ে শেষ ষোলোতে যেতে চাইবে এ ম্যাচেই।
সবশেষ চার বিশ্বকাপের তিনটিতেই শেষ ষোলোয় খেলেছে সুইজারল্যান্ড- ২০০৬, ২০১৪ ও ২০১৮ আসরে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্রুপ পর্বেই শেষ হয়ে যায় তাদের পথচলা। তবে এবার ভিন্ন গল্প লিখতেই কাতারে পা রেখেছে দলটি। বাছাইপর্বে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে টপকে বিশ্বকাপে জায়গা চূড়ান্ত করেছে সুইসরা। অন্যদিকে দলে নেই ব্রাজিলের তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার। ফলে সেরকম কিছু হলে কপাল পুড়তে পারে ব্রাজিলের।
তবে শক্তিমত্তায় সুইজারল্যান্ডের চেয়ে ঢের এগিয়ে ব্রাজিল। একমাত্র দল হিসেবে ১৯৩০ সালে শুরু হওয়া ফুটবল বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে খেলছে ব্রাজিল। মোট সাতবার ফাইনাল খেলেছে দলটি, সবশেষ ২০০২ সালে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের আসরে জার্মানিকে হারিয়ে নিজেদের পঞ্চম ও শেষ শিরোপা ঘরে তুলেছিল তারা।
এখন পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে সব মিলিয়ে মোট ৯বার মাঠে নেমেছে ব্রাজিল। যেখানে ব্রাজিলের তিন জয়ের বিপরীতে ২ জয় আছে সুইজারল্যান্ডেরও। বাকি ৪ ম্যাচে হয়েছে ড্র। ফলে ব্রাজিলের বিপক্ষে সুইসদের পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই।