ফুটবল বিশ্বের যত ট্রফি আছে তার প্রায় সবটাই জিতেছেন লিওনেল মেসি। ফুটবল বিশ্বের অন্যতম এই নক্ষত্রের ক্যারিয়ারে ৯৯৮ ম্যাচে ৭৮৮ গোল। জিতেছেন ৭টি ব্যালন ডি’অর। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটও পরেছেন।
ফুটবলের এই জাদুকর নিজের দেশকে শুধু বিশ্বকাপটাই এনে দিতে পারেননি। এজন্য বহু কথা শুনতে হয়েছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে। এ কারণে কষ্ট পেয়েছেন তার মা।
এর আগেও ৪ বার ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৪ সালে শিরোপার একবারে কাছে গিয়েও ছুঁয়ে দেখা হয়নি অধরা এই ট্রফি।
বুধবার রাতে কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নামার আগে শোনা গেল সেই মায়ের কষ্টের কথা। যন্ত্রণার কথা। বিশাল প্রাসাদের ঠাণ্ডা ঘরের নরম বিছানায় শুয়েও রাতের পর রাত ঘুমোতে না পারার কথা। তিনি-সেলিয়া মারিয়া কুকসিতিনি। তিনি লিওনেল মেসির মা।
তিনি জানালেন, এত সাফল্যের পরও মেসি সমালোচিত হন বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে না পারায়। মেসির জীবন যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। যার একদিকে তিনি ফুটবল ঈশ্বর। ভিনগ্রহের ফুটবলার। সেরার সেরা। অন্যদিকে বিশ্বজয়ী না হতে পারায় ট্র্যাজিক হিরো।
মেসির মা বলেন, ‘ও যে কত কষ্ট করেছে, তা আমি বলে বোঝাতে পারব না। একটা ম্যাচ জিততে, নিজের পারফরম্যান্সকে আরও ধারালো করতে নিজেকে কীভাবে নিংড়ে দিয়েছে, তা বলতে গেলে আমাকে সাহিত্যিক হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, ঈশ্বর এত নিষ্ঠুর হতে পারেন না। বিশ্বাস করি, এবার অন্তত লিও সেরা হবে। বিশ্বাস করি, এবার অন্তত লিওকে ন্যায়বিচার দেবেন ঈশ্বর। ’
সেলিয়ার বিশ্বাস, মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ওই জয়টাই হতে চলেছে মেসিদের টার্নিং পয়েন্ট। তিনি বলেন, ‘অমন কঠিণ প্রথমার্ধের পর, যে খেলাটা সেদিন খেলল আমার ছেলেরা, ওটাই মোমেন্টাম দিয়ে দেবে। আমরা গ্রুপ শীর্ষে থেকে নকআউটে যাব। শেষটাও করব এভাবেই। ’
আর শেষমেশ হলোও তাই। অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেলো রত্নগর্ভা মারিয়া কুকসিটিনির মনো-বাসনা।