বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে টুর্নামেন্টের অন্যতম হট ফেভারিট আর্জেন্টিনা। শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে ৪-৩ গোলে জিতে শিরোপার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে তারা। তবে এই ম্যাচে নেতিবাচকভাবে আলোচনায় এসেছে রেফারিং। স্প্যানিশ রেফারি আন্তনিও মাতেও লাহোস সহকারী কোচ ও ফুটবলারকে শুধু হলুদ কার্ড-ই দেখিয়েছেন ১৮টি।
মোট ৪৮ বার তিনি ফাউলের বাঁশি বাজান। মেসিকেও কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি লাহোস।
নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচ পরিচালনায় মূল দায়িত্বে ছিলেন রেফারি আন্তনিও মাতেও লাহোস। হিসাব করে দেখা যায়, পুরো ম্যাচে ১৮টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছে দুদলের খেলোয়াড়দের। আর ডাচ ডিফেন্ডার ডেনজেল ডুমফ্রিজকে ম্যাচের একেবারে শেষ সময় লাল কার্ড দেখিয়ে (দুই হলুদ কার্ড) মাঠ থেকে বিদায় দেন তিনি।
নেদারল্যান্ডস-আর্জেন্টিনা ম্যাচের প্রথম থেকেই ফাউলের বাঁশি বাজিয়ে গেছেন মাতেও। ম্যাচে এত বেশি কার্ড দেখে বিরক্তই হয়েছেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এই ম্যাচে ১৮ হলুদ কার্ড দেখিয়ে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি হলুদ কার্ড দেখানোর রেকর্ড গড়েছেন স্প্যানিশ এই রেফারি।
২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংলিশ রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েব ১৪ হলুদ কার্ড দেখান, বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ম্যাচে যা ছিল রেকর্ড। কিন্তু শুক্রবার সে রেকর্ড ভেঙে দিলেন আন্তনিও মাতেও।
ম্যাচ জেতার পরও রেফারির প্রতি নিজের অসন্তোষ জানিয়ে মেসি বলেন, আমার মনে হয় ফিফার এই রেফারিকে এই ধরণের ম্যাচে দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়। কারণ তিনি এর যোগ্যই না।
পেনাল্টি শ্যুট আউটে ২ পেনাল্টি ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনার নায়ক বনে যাওয়া এমিলিয়ানো মার্টিনেজও ক্ষুব্ধ স্প্যানিশ এই রেফারিতে। তিনি বলেছেন, লাহোস এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে ‘বাজে রেফারি’। তিনি খুবই জেদি। তাকে কিছু বললে তিনি বাজে ভাবে উত্তর দেন।
এমন রেফারিং করার একটি কারণও খুঁজে পেয়েছেন ‘আর্জেন্টিনার বাজপাখি’ মার্টিনেজ। তিনি বলেন, আমার মনে হয় স্পেন বিদায় নিয়েছে ইতোমধ্যে, তাই তিনি আমাদের বিদায়টা খুব করে চেয়েছিলেন।