কাতার বিশ্বকাপ শেষ। ফ্রান্সকে টাইব্রেকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। মেসি পেয়েছে স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফির স্বাদ। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্স জুরে এখনও চলছে উদযাপন।
রোমাঞ্চ জাগানিয়া ম্যাচটিকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা হিসেবে মানছেন অনেককেই। তবে মানতে নারাজ ফ্রান্স ভক্তরা। পুনরায় ফাইনাল আয়োজনের দাবি তাদের।
আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াকের সমালোচনায় মেতেছেন তারা। তাদের দাবি রোমাঞ্চ ঠাসা ওই ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রথম ও শেষ গোলটি ‘অনৈতিক’। রেফারির বাজে সিদ্ধান্তের কারণেই হারতে হয়েছে তাদের। চুপ করে বসে থাকেননি রেফারিও। ফ্রান্স ভক্তদের জবাব দিয়েছেন তিনি। প্রমাণ দিয়েছেন ছবি দেখিয়ে।
তাদের দাবি, পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল পাওয়ার আগে ডি মারিয়াকে ফাউল করা হয়নি। নিজের পায়ে জড়িয়ে পড়ে যান তিনি। ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলের সমতা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে যাওয়া ম্যাচে গোল করে দলকে লিড এনে দেন মেসি।
ওই সময় মাঠে আর্জেন্টিনার অতিরিক্ত দু’জন ফুটবলার ছিল। শটটি প্রথম নেন লউতারো মার্টিনেজ। ওই সময় উল্লাস করতে গিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন তারা। মেসি শট নিয়ে গোল করার আগে বাইরে যেতে পারেননি তারা। ওই ছবিকে পুঁজি করে ম্যাচটি পুনরায় আয়োজনের দাবিও তোলা হয়েছে।
আর্জেন্টিনার ওই গোলটি অবৈধ দাবি করেছেন ফ্রান্সের ভক্তরা। তারা পিটিশনও শুরু করেছে পুনরায় বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি আয়োজন করতে। যাতে সাক্ষর করেছে ২ লাখেরও বেশি ফ্রান্স সমর্থক। বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে তাই মুখ খুলেছেন রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াক। মোবাইলে একটি ছবি দেখিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এমবাপ্পে যখন দ্বিতীয় গোলটি করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিল তখন ফ্রান্সের অতিরিক্ত সাত ফুটবলার মাঠে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এই ছবির কথা (মার্চিনিয়াক হাতে থাকা ফোনের ছবি বের করে দেখান) একবারও উল্লেখ করছে না ফ্রান্সের সমর্থকরা। যাতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এমবাপ্পে যখন গোল করেন, তখন তাদের সাতজন অতিরিক্ত ফুটবলার মাঠের মধ্যে ছিলেন। ’