নতুন প্রজন্মের ১০ টি ব্যাংকের মধ্যে খেলাপী বেড়েছে ৭ টিতেই। আর তা উদ্ধারে উঠে পড়ে লেগেছে ব্যাংকগুলো। গেলো কয়েক মাসে অর্থ উদ্ধারে এক হাজারের অধিক মামলা করেছে পদ্মা ব্যাংক
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, সুফল মিলছে মামলাতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ব্যাংকগুলো যাতে খেলাপীর জালে আটকে না যায় সেই দিকে নজরদারি করতে হবে কেন্দ্রিয় ব্যাংককে।
ব্যাংক খাতের জন্য সবচেয়ে দুশ্চিন্তার নাম খেলাপী ঋণ। যেই জালে আটকে একসময় দেউলিয়া হওয়ার পথে ছিলো নতুন প্রজন্মের ফারমার্স ব্যাংক। যদিও পরবর্তীতে রাষ্ট্রিয় কয়েকটি ব্যাংককের হস্তক্ষেপে হয় মালিকানা পরিবর্তন। তার সাথে নাম হয় পদ্মা ব্যাংক।
নতুন নামে যেনো নতুন করেই আবার শুরু করেছে ব্যাংকটি। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা খেলাপী উদ্ধারে গেলো কয়েক মাসে এক হাজারের অধিক মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান খসরু জানান, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীদের কোন ছাড় দেবেন না তারা। এরইমধ্যে সকল মামলা চালু করা হয়েছে। যারা খেলাপী তাদের ডাউন পেমেন্ট দিতে হচ্ছে।
কেন্দ্রিয় ব্যাংকের হিসেবে, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে জুন সময়ে পদ্মা ব্যাংকের খেলাপী উদ্ধার হয়েছে প্রায় দুইশ আশি কোটি টাকা। যদিও নতুন প্রজন্মের দশটি ব্যাংকের মধ্যে খেলাপী বেড়েছে ৭ টির।
জুন শেষে নতুন ব্যাংকগুলোয় মোট খেলাপী দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৬ কোশি টাকা, যা ছয় মাস আগে ছিলো ৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ছয় মাসে খেলাপী বেড়েছে ২২৪ কোটি টাকা।
মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হোসেন বলেন, সব জেনারেশনের ব্যাংকেই খেলাপী আছে। তবে এটি উত্তরণের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলছেন, নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোয় সুশাসন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। তবে এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু নির্দেশনাও দিতে পারে। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিবেচনায় ঋণ দেয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেন তিনি।