করোনা স্থবিরতা কাটিয়ে সংগঠনকে উজ্জিবিত করতেই মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে উদগ্রিব বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আসন্ন উপ নির্বাচনের প্রচারণাকে একাজে লাগাতে চান তারা।
কেন্দ্রীয় নেতারাও বলছেন গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই নির্বাচনগুলোতে নেতাকর্মীর মাঠের উপস্থিতি বাড়াতে চান। দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার আরো ৬ মাস মুক্তো থাকার নতুন ঘোষণা তাদেরকে উৎসাহ যোগাবে বলেও মনে করেন নেতারা।
ঢাকা ৫ এবং ঢাকা ১৮ এই দুই নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি আসনের অন্তর্গত এলাকাগুলোতে ইতিমধ্যেই বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন স্থানীয় বিএনপিরনেতাকর্মীরা। নির্বাচনের নিকট অতিত ইতিহাস সুখকর হয়নি এমন মনে করলেও নেতাকর্মীরা বলছেন সংগঠন গোছাতে মাঠে সক্রিয় থাকতে চান তারা।
দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং যুগ্ম মহাসচিব পদমর্যাদার একাধিক নেতা বলছেন আরো আগেই মাঠে নামা উচিত ছিলো, এতে করে হয়তো আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিনে মুক্ত হওয়ার বিষয়টি সামনে আনা যেতো।
বিএনপির নীতি নির্ধারকরা বলেছেন, উপ নির্বাচনে অংশ নেয়া একটি কৌশল।
দলের ভেতরে এবং বাইরে, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অনেকেই মনে করেন, এই উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি দল গোছাবে, আর সেই গোছানো দল নিয়ে তারা গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে রাজপথ কাঁপাবে- এটি বাস্তবতা থেকে বেশ দূরে।