সংসদীয় উপ-নির্বাচনে জনগণের সমর্থন আদায়কেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। আর গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আসন্ন উপ-নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণকে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক হিসেবেও দেখছেন দলটির নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করেন, নির্বাচনে জয়ী হতেই হবে এমন মনোভাব পরিহার করে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করতে পারলেই ভোট কেন্দ্রে ভোটার ফেরানো সম্ভব।
সাংবিধানিক বাধ্যবাদকতার কারণে একাদশ জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া ৫টি আসনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপ-নির্বাচন। এর মধ্যে তিনটি আসনে উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগ ছাড়াও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং মাঠের বিরোধী দল বিএনপি অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
উপ-নির্বাচন ঘিরে সংসদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণকে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা ও অনুশীলনের প্রতিফলন বলে মনে করছেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন জনসমর্থন আদায়ে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম জানান, গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সকল রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিবে। জনগণের রায়ের উপর ভরসা করে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জাননা তিনি।
একই সঙ্গে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে ফেরাতে, অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরির আহবানও জানান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪, ১৭ অক্টোবর ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি দুটি আসন ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১।