দিনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হলেও রাতেই আবার দেওয়া হচ্ছে অবৈধ সংযোগ। আর এভাবেই সমগ্র গাজীপুর জুড়ে ১৬৪ এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে একটি চক্র।
নিউজ টোয়েন্টিফোরের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে গাজীপুরের আরও ২৫টি স্থানে রয়েছে প্রায় একশ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস সংযোগ।
তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছেন, সীমিত লোকবল নিয়ে জরিমানা ও মামলা দিয়েও কোনভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না অবৈধ গ্যাসের ব্যবহার।
গাজীপুরের হোতাপাড়া, গিলাগাছিলা, মনিরপুর শিল্প এলাকা হওয়ায় এখানে লাখো মানুষের বসবাস। এখানে মানুষের থাকার জন্য গ্যাস সংযোগের বাসাগুলোর কদরও ভাড়াটিয়াদের কাছে বেশি।
লাভের দিক বিবেচনা করেই এখানে প্রতিটি বাসায় নেয়া হয়েছে অবৈধ সংযোগ।
এখানকার অগি-গলি ঘুরলে নাকে পাওয়া যায় বাতাসে ভেসে বেড়ানো গ্যাসের গন্ধ। অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে শো-শো শব্দ মাটি ফুড়ে গ্যাস বের হওয়ার দৃশ্য।
আর এভাবে বিস্তার হওয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগে জলন্ত অগ্নিকাণ্ডের ওপর বসবাস করছে গাজীপুরবাসী।
নিউজ টোয়েন্টিফৈারের অনুসন্ধানে গাজীপুর সদর থানা, জয়দেবপুর থানা, গাছা থানা, বাসন থানা এবং শ্রীপুর থানার মধ্যে ২৫ এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে কয়েকটি চক্র।
আর এদের মদদে রয়েছে তিতাসের কিছু অসাধু কমকর্তা কর্মচারী এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।
গাজীপুর তিতাস গ্যাসের ব্যাপস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম জানান, মামলা দিয়েও কোন ভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না অবৈধ গ্যাসের ব্যবহার। অনেক প্রভাবশালীর ইন্ধন থাকায় অপরাধীরা ধোরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
সচেতন মহলের মত, তিতাসের নজরদারী আর কঠোর আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা না থাকায় এভাবে অপরিকল্পিতভাবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বাড়ছে, ঘটছে ভয়াবহ সব বিস্ফোরণ।