দেশের সাধারন জনগণের কাছে সরকারী সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগন সরকারী সকল সিদ্ধান্ত সঠিক বাস্তবায়নসহ জনগনের প্রকৃত সেবায় নিয়োজিত থাকেন এটাই স্বাভাবিক কিন্তু দায়িত্বের বাহিরে গিয়েও অনেক সময় যখন সরকারী কর্মকর্তারা সাধারন জনগনকে ভালো রাখার জন্য দিনরাত কাজ করেন।
এমনই একজন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমার। তিনি গলাচিপা উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই কাজের মাধ্যমে জয় করে যাচ্ছেন গলাচিপাবাসীর মন। তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারণের মনের কথা বলতে পারে তার অফিস কার্যালয়ে।
করোনা কালীন সময়েও উপজেলার আলোচিত নাম ইউএনও আশীষ কুমার। করোনা ভাইরাসে সাধারন মানুষের সুরক্ষার জন্য ছুটে বেড়ান গলাচিপা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায়। উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে তিনি ছুটছেন সাধারণ অসহায় পরিবারগুলোর জন্য সাহায্য নিয়ে। অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের জন্য তার অফিসের দরজা সার্বক্ষনিক খোলা।
যেখানে অনেক সরকারী কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন দিনের পর দিন সেখানে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশংকা উপেক্ষা করে তিনি ইউনিয়ন গুলোতে সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে কিনা তা ইউনিয়নগুলোতে গিয়ে পর্যবেক্ষন করেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সার্বক্ষনিক ভাবে সকল বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।
করোনায় ঝিমিয়ে পড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার সচল করার লক্ষ্যে নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা যাতে পড়ালেখায় পিছিয়ে না পরেন সেজন্য তিনি ঘরে বসে অনলাইন শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশীষ কুমার বলেন, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে দিন রাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।
অসহায় গরিব মানুষের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন মানবিক সহায়তা সঠিকভাবে পৌঁছে দিচ্ছি। সরকারী বেসরকারী কাজ সঠিক ভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তাও দেখতে হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে মানুষ সঠিক বিচার পাবে সেটি ইউনিয়ন পর্যায়ে সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তারও তদারকি চলছে।