পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামে দীর্ঘ ১০ বছর অভাব-অনাটনের তাড়নায় সিমেন্টের বস্তার ঘরে দীর্ঘ বছর জীবন যাপন করে আসছে এখন পর্যন্ত নজরে আসেনি কারো এই হতদরিদ্র পরিবারটি।
জানা গেছে,দশমিনা সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা হতদরিদ্র পরিবারের মৃত চানমিয়া হাওলাদারের ছেলে কাঠমিস্ত্রি মোঃ মাহফুজ হাওলাদার। কাঠমিস্ত্রি মোঃমাহফুজ হাওলাদারের ৩ মেয়ে, বড় মেয়ে পঞ্চম শ্রেণী,মেজো মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে এবং ছোট মেয়ের বয়স মাত্র তিন বছর। অভাব অনটনের মধ্যে থেকেও তিনি তার মেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে আসছে, দিন আনে দিন খায়!কোনদিন খেতেও পারে না, অভাব-অনাটন লেগেই আছে এখনও অপেক্ষায় আছে ভাগ্য পরিবর্তনের।
হতদরিদ্র কাঠমিস্ত্রি মোঃমাহফুজ হাওলাদারের দীর্ঘ বছরের অবস্থা জানান, ঝড়-বৃষ্টি শীতে বেঁচে আছি এই আর কি! ভিটেমাটি ছাড়া আর কোন অর্থ-সম্পদ নেই এইবার কনকনে শীতে কোনমতে বেঁচে আছি ছোট মেয়েটির শীতে মারাত্মক ঠান্ডা লেগে টাইফেট হয়েছিল দীর্ঘদিন হসপিটালে ভর্তি অবস্থায় ছিল মানুষের কাছ থেকে দার এনে ঋণী হয়েছে, সাহায্যের জন্য ঘুরে বেরিয়েছি এই মহলে সেই মহলে কিন্তুু কোন লাভ হয়নি কেউ ফিরেও তাকায়নি আসলে এটাই সত্য গরিবের আল্লাহ ছাড়া কেউ নাই।
আজ আমি অসহায় তিনটি কন্যা সন্তান নিয়ে আজ আমি বিপাকে।
দিন আনি দিন খাই! কোন দিন আবার না খেয়েও থাকতে হয় মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে। সরকারের এত অনুদান এত পূর্ণবাসন প্রকল্প আসে কিন্তু আমার দিকে ফিরে কেউ তাকায়নি। আমি সরকারের জনপ্রতিনিধি ও অর্থবিত্তমান ব্যক্তিদের কাছে আবেদন করছি যাতে করে আমার এই সিমেন্টের বস্তার ঘরটি যদি নির্মাণ করে দেয় তাহলে আমি আমার স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে একটু শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারব কষ্ট হলেও তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবো। এই সাহায্য টুকু আমাকে আপনারা করুন। এব্যপারে দশমিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ ইকবাল মাহমুদ লিটন জানান,বিষয়টি তার নলেজে নেই,তিনি ওখানের বাসিন্দা কিনা ভোটার কিনা তথ্য নিয়ে জানবে, সে যদি হতদরিদ্র এবং অভাবে থাকে তাহলে সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাওয়া উচিত এবং তার পক্ষ থেকেও সহানুভূতি দেখাবেন বলে তিনি জানান।
এছাড়াও দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস জানান, মুজিব শতবর্ষে শতভাগ আবাসনের নিশ্চয়তার অঙ্গীকার কেহ গৃহহীন থাকবে না,যদি তিনি বাস্তবে গৃহহীন হয়ে থাকে তাহলে তাকে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে তিনি আরো জানান এব্যাপারে চেয়ারম্যানের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করা হবে,বলে তিনি জানান। এনিয়ে এলাকার জনসাধারণ জানায় এই অসহায় পরিবারটি একটি ঘড় পাক আমরাও চাই।এলাবাসীর ঢৃড় প্রত্যাশা।