আঞ্চলিক রাজনীতিতে এশিয়ার দুই ‘সুপার পাওয়ার’ – ভারত-চীন যখন আধিপত্য বিস্তারে ব্যস্ত; তখন বেশ কৌশলেই উভয় দেশের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে পেরেছে বাংলাদেশ।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২০ সালটি ভার্চুয়াল কুটনীতির বছর হলেও বাংলাদেশের কূটনীতি ছিলো স্থিতিশীলি, প্রগতিশীল এবং অমিমাংশিত বিষয়গুলো সমাধানে এগিয়ে যাওয়ার বছর। তবে নতুন বছরে করোনা কূটনীতির পাশাপাশি স্বাস্থ্য অর্থনীতি ও শিক্ষার মতো বিষয়গুলোও কূটনৈতিক অঙ্গনের চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
কখনো মুখোমুখি আলোচনা, কখনো টেলিফোনে, আবার কখনো চিঠিপত্র পাঠিয়ে দেশের রাষ্ট্রনায়ক কিংবা সরকার প্রধানরা যোগাযোগ করেন। কূটনৈতিক যোগাযোগের আছে এমন আরো নানা রকম ভাষা। তবে ২০২০ সাল একেবারেই আলাদা।
বিশ্ব নেতাদের সবচেয়ে বড় আসর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন থেকে শুরু করে বেশিরভাগ আয়োজনই হয়েছে ভার্চুয়াল জগতে। সদ্য সাবেক পররাষ্ট্র সচিবের মতে – কেমন ছিলো বাংলাদেশের ভার্চুল কূটনীতির এক বছর?
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক জানান, এই এক বছরের কূটনীতি স্থিতিশীল ছিল। বছরের শুরুর দিকে কূটনীতির যে সব উদ্দেশ্য ছিল তা সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
বছর জুড়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় ছিলো এশিয়ার সুপার দুই পাওয়ার ভারত ও চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের মতে চীন-ভারতের এমন মুখোমুখি অবস্থা বাংলাদেশ সবার সাথেই খুব ভাল সম্পর্ক রাখতে পেরেছে।
আর চীন-ভারতের বিষয়ে যে সমতা করার কথা ছিল তা খুব সফলভাবে হয়েছে বলে জানান সাবেক পররাষ্ট্র সচিব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার ধাক্কায় তছনছ বিশ্বে নতুন সংযোজন ‘করোনা কূটনীতি’। কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসতে পারে অর্থনীতি কিংবা স্বাস্থ্য কূটনীতির মতো বিষয়গুলোও।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হলেও তাদের একটি অংশ ভাসানচরে স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে বছর শেষে আবারো কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় আসে বাংলাদেশ।