নাটোরের বড়াইগ্রামে হাতুরে গাইনী ডাক্তার ফরিদা বেগমের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বনপাড়া পৌরসভার ১২ নাম্বার ওয়ার্ডের জনসাধারণ এই কর্মসূচীর আয়োজন করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, কাউন্সিলর দুলাল উদ্দিন, নজরুল ইসলামসহ শতাধীক নারী পুরুষ অংশগ্রহন করে।
মানবন্ধন সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার গুড়–রশৈল গ্রামের ভ্যানচালক নুর আলমের স্ত্রীকে গত ১০ অক্টোবর নরমাল ডেলিভারীর জন্য বনপাড়া পাঠানপাড়া এলাকার জনৈক হাতুরে ডাক্তার ফরিদা বেগমের কাছে নিয়ে আসেন।
এসময় তিনি ডাক্তারকে বলেন নরমালে ডেলিভারী করতে না পারলে তিনি স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। কিন্তু ফরিদা বেগম দায়িত্ব নিয়ে নরমাল ডেলিভারী করাতে গিয়ে কমপ্লিট টিআর (মলদ্বার ও মাসিকের দ্বার) ছিরে একত্র করে ফেলেন। পরে তার কাছে গেলে তিনি কোন সহযোগিতা না করে উল্টো হুমকি দিয়ে তারিয়ে দেন।
নুর আলম বলেন, আমি একজন গরীব মানুষ। আমি আমার স্ত্রীর ভুল চিকিৎসায় অসুস্থ্য করার বিচারের জন্য বড়াইগ্রাম থানা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বনপাড়া পৌর মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও সুষ্ঠ বিচার পাইনি।স্থানীয় কাউন্সিলর দুলাল উদ্দিন বলেন, এই দম্পতি আমার ওয়ার্ডে স্থায়ী বাসিন্দা। তারা গরীব মানুষ। এই ঘটনার জন্য দায়ীদের সুষ্ঠ বিচার হওয়া দরকার।
বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তার অনুকূলে তদন্ত কমিটি গঠণ করে প্রতিবেদন আজ জমাদানের কথা। জানিনা সে তদন্ত প্রতিবেদনে কি আছে। তবে দুই পক্ষকে মুখোমুখি না করে তদন্ত প্রতিবেদন করা হয়েছে। এই মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পরিতোস কুমার রায় এবং ফরিদা পারভিনকে অপসারন করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।
অভিযুক্ত ফরিদা বেগম বলেন, আমি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ধাত্রী। ডেলিভারীর সময় একটু সমস্যা হয়ই। পরে ঠিক হয়ে যায়। এ নিয়ে এতো মথা গরম করার কিছু নাই।পরিতোস কুমার রায়, বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে।