আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথমদিন। শীতের আমেজ আর গ্রীষ্মের আগমন দুইয়ের সন্ধিক্ষণে প্রকৃতিতে এক ভালোলাগার ছোঁয়া। বাংলা বর্ষপঞ্জি মতে এবারও বসন্তের আগমনীর সাথেই মিশেছে ভালোবাসা দিবস। মহামারিকালে এই দুই উৎসব পালনের রীতি এবার একটু ভিন্নই বটে।
রঙে, ঘ্রাণে বৈচিত্র্য ছড়িয়ে বসন্ত আসে রাজার বেশে; ঋতুরাজ পদবি নিয়ে।শীতের হাওয়াকে বিদায় জানিয়ে জাগে প্রকৃতি। জাগে ফুল, জাগে আমের মুকুল। এত জাগরণের মাঝে জাগে মনও।
ভারতবর্ষের আরিয়ান জাতি খ্রিষ্ট জন্মেরও ৩০০ বছর আগেই বসন্ত উৎসব করত। শান্তিনিকেতনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়ে বিশেষ নৃত্যগীতে শুরু হয় বসন্ত উৎসবের নবরীতি। ষাটের দশক থেকে বাঙালী সংষ্কৃতির পুণরুদ্ধার আর বায়ান্নর ভাষা শহীদদের হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশেও নতুনভাবে শুরু হয় পহেলা ফাল্গুনের উৎযাপন।
এবারও বসন্তের প্রথম দিনেই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ৪৯৬ অব্দে পোপ প্রথম জেলাসিউস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে ঘোষণা করেন। যা পরে বিশ্ব ভালবাসা দিবসের স্বীকৃতি পায়। প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের এই দুই দিনের মধ্যে রয়েছে মিলও। কারণ প্রকৃতির সঙ্গে মনের সংযোগ শাশ্বত।
নগরে কংক্রিট আর গ্রামে কম, উৎযাপনের ঘনঘটা। তার ওপরে মহামারির মহীরুহ যাই যাই করেও বিদায় নেয় না। তারপরও পত্রপল্লবের সজীবতা গণমানুষের কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সেই লাইনকেই মনে করিয়ে দেয়। ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত।