আন্তর্জাতিক বাজারে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন দেশিয় উদ্যোক্তারা। উৎপাদকরা বলছেন, সিমেন্ট তৈরির প্রধান উপকরন ক্লিংকারের দাম টন প্রতি ১৭ থেকে ১৮ ডলার বেড়েছে গেলো কয়েক সপ্তাহে। পাশাপাশি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে জাহাজ ভাড়া।
পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রতি বস্তা সিমেন্টে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে কোম্পানীগুলো। এ অবস্থায় সরকারি কর ছাড়ের দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনা মহামারির জন্য এক প্রকার থমকে যায় পুরো পৃথিবী। আটকে যায় ছোট বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন। করোনা পরিস্থিতির উন্নতির সাথে পুরোদমে শুরু হয়েছে অবকাঠামো নির্মাণ। তাতে বিশ্বব্যাপী চাহিদা বেড়েছে অন্যতম নির্মাণ সামগ্রী সিমেন্টের।
বাড়তি চাহিদার সুবাদে অনাকাঙ্খিতভাবে দাম বেড়েছে সিমেন্ট তৈরির ক্লিংকার, ফুয়েল ও কয়লার দাম। বর্তমানে বাংলাদেশে সিমেন্ট কারখানা রয়েছে ৩৭ টি। কাচামালের দাম বাড়ায় দেশের বাজারে দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
বৃহৎ উৎপাদক বসুন্ধরা সিমেন্টের এই কর্মকর্তা বলছেন একদিকে ক্রেতা চাহিদা অন্যদিকে বাড়তি দাম সবমিলে চাপে তারা। আবার রপ্তানিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে তাদের।
গেল কয়েক বছরে সিমেন্ট বিক্রিতে বেশ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে। ২০১৬ সালে প্রবৃদ্ধি ছিলো ১৯ শতাংশ। ২০১৭ তে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৮.৩২ শতাংশ, ২০১৮ তে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছিলো ১৫.৬৯ শতাংশ, ২০১৯ এ কিছুটা কমে প্রবৃদ্ধি হয় ৭.৩৭ শতাংশ। করোনার বছর অবশ্য নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয় ৭.৬৫ শতাংশ। পাশাপাশি রপ্তানিও বেড়েছে গেলো কয়েক বছরে।
সিমেন্ট ও রডের দাম বাড়ায় ফ্লাটের দাম বাড়তে পারে বলে শংকা করছেন রিহ্যাব সভাপতি। সিমেন্ট খাতে প্রবৃদ্ধি ফেরাতে আর রপ্তানি ধরে রাখতে সরকারি সহায়তার দিকে তাকিয়ে ব্যবসায়ীরা।