লাইসেন্স বা সার্টিফিকেট কোনোটিই নেই, তবুও ডাক্তার। ফার্মেসি খুলে দিচ্ছেন চিকিৎসা সেবা-প্রেসক্রিপশন সবই। রাজধানীর আশপাশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে এমন চিত্র যত্রতত্র।
এছাড়া ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ কিনতে গেলে, প্রেসক্রিপশন নেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানছে না ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই।
রোগ নিরাময়ে ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওষুধ ক্রয় ও গ্রহণে রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালাও। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ওটিসি বা ওভার দ্যা কাউন্টার তালিকাভুক্ত ওষুধ বিক্রিতে কোনো প্রেসক্রিপশনের বাধ্যবাধকতা না রাখলেও বাকি ওষুধ বিক্রিতে প্রেসক্রিপশন জরুরি করেছে। আর যারা ওষুধ বিক্রি করবেন তাদেরও সার্টিফিকেট ও দোকান লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করেছে অধিদপ্তর। কিন্তু কতটা মানা হচ্ছে এসব নিয়ম বা আইন?
সাভারের রাজফুল বাড়িয়া এলাকা। সন্ধ্যার পর রোগীতে ঠাসা ফার্মেসীটি। একজন প্রাথমিক চেকআপে ব্যস্ত। জিজ্ঞেস করতেই জানা গেলো, তিনি একটি কোম্পানীর কর্মচারী।
ড্রাগ লাইসেন্সও দেখাতে পারেনি ফার্মেসিটি। অথচ বিক্রি করছেন সব ওষুধই। পাশের আরেক ফার্মেসিরও একই অবস্থা। সার্টিফিকেট না থাকলেও তিনি রীতিমত ডাক্তার পরিচয় দেন। ১০ বছরের ফার্মেসির নেই কোনো লাইসেন্সও।
একই চিত্র নারায়ণগঞ্জের এই ফার্মেসির। ছিলেন কর্মচারী। এখন নিজেই ফার্মেসি খুলে বনে গেছেন বড় ডাক্তার।
রাজধানীতেও মেলে এমন অনিয়মের নানা চিত্র। শাহবাগের এই ফার্মেসিগুলোতেও ওটিসি তালিকার বাইরেও প্রেসক্রিপশন ছাড়া হরহামেশা বিক্রি করছে ওষুধ।
দেশে রেজিষ্ট্রার্ড ফার্মেসির সংখ্যা যা আছে তার চেয়ে ঢের বেশি আছে অনুনোমোদিত ফার্মেসি। তাই স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে মানুষকে বাঁচাতে ফার্মেসিগুলোকে আইনের আওতায় এনে সঠিক ব্যবস্থাপনায় ফিরিয়ে আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।