৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর সারা দেশের পরিস্থিতি বদলে যায়। ঢাকাসহ সারাদেশে চলতে থাকে অসহযোগ আন্দোলন। ইতিহাসের সেই দিনগুলির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশিদ জানান সেদিন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উজ্জিবিত করেছিলো তাকে। নিজেকে প্রস্তুত করে হেমায়েত বাহিনীর সাথে ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলে একাধিক যুদ্ধে অংশ নেন তিনি।
রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন ছাত্রনেতারা। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ এক বিবৃতিতে, “বাংলার মুক্তি আন্দোলনকে ‘স্বাধীনতা আন্দোলন’ ঘোষণা করে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
দেশের নানা প্রান্তে তখন চলতে থাকে বাঙালীকে সংগঠিত করে তোলার কাজ। এসময় যারা নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেছেন বাঙালির স্বাধীনতার জন্য তাদেরই একজন কাজী ফিরোজ রশিদ।
পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিশাল অংশ প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে এসময়। এই মুক্তিযোদ্ধা মনে করেন ছাত্রসমাজের মহান আত্মত্যাগ ছাড়া এদেশের স্বাধীনতা অর্জন মোটেই সহজ হতোনা।
যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষে গঠিত সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী “হেমায়েত বাহিনীর” হয়ে টানা নয় মাস পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন এই মুক্তিযোদ্ধা।