পণ্য বহুমুখী করতে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি প্লাস্টিক খাতকেও সামনে আনতে চায় সরকার। এরই মধ্যে পরিকল্পিত প্লাস্টিক পল্লী গড়ে তুলতে আলাদা জমিও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিশ্বে প্লাস্টিক পণ্যের বাজার সাড়ে ৬ হাজার কোটি ডলারের হলেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও রফতানি মিলিয়ে বাণিজ্যিক হিস্যা ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি ডলার। উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা গেলে এ খাতের রপ্তানি সক্ষমতা আরো বাড়ানো সম্ভব।
ইউরোপ, আমেরিকা, প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্বের অন্তত ২২টি দেশে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করছে বাংলাদেশ। এছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজারেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে প্লাস্টিক পণ্যের।
গবেষণা সংস্থা সিপিডি ও প্লাস্টিক পণ্যের প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিপিজিএমইএর হিসাবে, বাংলাদেশ এখন মাথাপিছু ৬ থেকে ৭ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহার করছে। অভ্যন্তরীণ এই ব্যবহার ২০৩০ সাল নাগাদ বেড়ে দাড়াবে মাথাপিছু অন্তত ৩৫ কেজি। যদিও উন্নত বিশ্বে মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহার শত কেজির বেশি।
বর্তমানে ১০০ কোটি ডলারের রফতানি দ্বিগুণ করার লক্ষ্য ব্যবসায়ীদের। রপ্তানিতে প্লাস্টিক খাতের অবদান বাড়াতে শিল্পপল্লী গড়ে তুলতে ৫০ একর জমি দেয়া হয়েছে। দ্রুত অবকাঠামো তৈরি ও প্লাস্টিক পল্লী বাস্তবায়নের কথা বলছেন উদ্যোক্তারা।
প্লাস্টিক রপ্তানিকারক সমিতির হিসাবে দেশে ৫০০০ এর বেশি ছোট বড় প্লাস্টিক কারখানা গড়ে উঠেছে। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ১২ লাখ মানুষের। পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্লাস্টিক খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সব রকম নীতি সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
প্রযুক্তি ও পরিবেশ বান্ধব প্লাস্টিক পল্লী বাস্তবায়ন করা গেলে রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগীতা সক্ষমতা এবং প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে মনে করেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
খাত সংশ্লিষ্টদের হিসাবে, প্লাস্টিক শিল্প থেকে বছরে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।