মুক্তিযুদ্ধের আগে তখনকার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ছিল নানা ধরনের প্রস্তুতি। একেকজনের কাজ ছিল একেক রকম। তাদের সম্মিলিত কর্মকাণ্ড আন্দোলনের মাঠকে রাখত উত্তপ্ত। তাদেরই একজন মোজাফফর হোসেন পল্টু। মুক্তিযুদ্ধের সময় অগনিত মুক্তিযোদ্ধাকে যুদ্ধে যাওয়ার পথ দেখিয়েছেন।
একাত্তরের সাতই মার্চে মঞ্চের পাশেই ছিলেন মোজাফফর হোসেন পল্টু। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত হয়েছিলেন।
সত্তরের নির্বাচনের পর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মোজাফফর হোসেন পল্টু তখন ঢাকার কমলাপুর ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আন্দোলনের মাঠে নিরলস কাজ করতেন। বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজনও ছিলেন তিনি।
২৪শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা হয়েছিল মোজাফফর হোসেন পল্টুর। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছিল পূর্ণ আন্দোলনের। ২৫ শে মার্চের কালরাতে পাকিস্তানীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ বাঙালীর ওপর। সেই রাতে মোজাফফর হোসেন পল্টুরা ব্যারিকেট দেন রাস্তায়।
যুদ্ধ শুরুর পর অনেকেই যুদ্ধে যেতে চাইতেন। কিন্তু পথ খুঁজে পেতেন না। মোজাফফর হোসেন পল্টু তখন সংগঠিত করতেন সাধারণ মানুষকে।
মোজাফফর হোসেন পল্টু মুক্তিযুদ্ধের পরেও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ গড়তে নিজ জায়গা থেকে নানাভাবে কাজ করেছেন।