একজন চুরির টাকা দিয়ে বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছেন। অন্যজন বউয়ের নামে ব্যাংকে করেছেন ১০ লাখ টাকার এফডিয়ার। তিন জনই কিনেছেন নতুন মোটরসাইকেলও। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পরতে হলো পুলিশের হাতে। গেল মাসের ১৩ তারিখ রাজধানীর বনানীর একটি প্রতিষ্ঠানে গ্রিল কেটে ৬৫ লাখ টাকা চুরি করে রহিমসহ তিন চোর।
রহিম, কালো সোহেল ও সাদা সোহেল। মহাখালীর সাত তলা বস্তি এলাকায় থাকতেন এই তিন চোর। টোকাই হিসেবে জীবনের শুরুটা করলেও পরে, দিনের বেলা রিকশা ও রাতে ছোট ছোট চুরি করেই তিনজনের জীবন কাটছিল।
কিন্তু গেলো মাসের ১৩ তারিখ যেনো জীবন পাল্টে যায় তাদের। বনানীর এই ভবনে চুরি করতে আসেন এই তিন চোর। গাছ বেয়ে ভবনটির দুইতলার এই অফিস এ প্রবেশ করেন রহিম ও কালো সোহেল। নিচে পাহারায় থাকে সাদা সোহেল। ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন চুরির উদ্দেশ্যই ছিল তাদের। তবে, অফিস এ পেয়ে যান সিন্দুকের সন্ধান। যা ভাঙতেই কপাল বদলে যায় তাদের। মিলে ৬৫ লাখ টাকা।
রহিম ও কালো সোহেল ৫৬ লাখ টাকা ভাগ করে নেন। সাদা সোহেল ভাগে পায় ৪ লাখ টাকা। যা দিয়ে বিয়ে করে সে। আর রহিম নিজের স্ত্রীর নামে শেরপুর ইসলামী ব্যাংক এ করে দশ লাখ টাকার সঞ্চয়।
পুলিশ বলছে, এসব চক্র প্রথমে রেকি করে চুরির জন্য ভবন নির্ধারণ করে। আর সুযোগ পেলেই নিয়ে যায় মূল্যবান সম্পদ।
পুলিশের তথ্য বলছে গেল ২০২০ সালে রাজধানীতে ১২১৭ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে গ্রিল কাটা চুরির সংখ্যা ৬৫৮ টি। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারীতে শুধু বনানীতে বিদ্যা নিকেতন স্কুলসহ চুরির ঘটনা ঘটেছে ৪ টি।