দেশের মোট মাদকাসক্তের প্রায় ৮০ ভাগই ইয়াবাসেবী। সেই হিসেবে, মাদকাসক্তের সংখ্যা যদি ৮০ লাখ হয়, তাহলে, ইয়াবাসেবী ৬০ লাখ। বিপুল এই সংখ্যার পেছনের মূল কারণ, সহজলভ্যতা। খোদ মাদকসেবীরাই বলছেন, স্যোশাল মিডিয়া থেকে শুরু করে হোম ডেলিভারি, সব অফার নিয়ে সক্রিয় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।
নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো মাঠ পর্যায়ে কিছুটা সক্রিয় হলেও, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মাদক বিক্রি ঠেকাতে এখনো উদ্যোগী নয়। বিশ্লেষকদের শঙ্কা, এই অবস্থা চলতে থাকলে, খুব শিগগিরই মাদকসেবীর সংখ্যা কোটি ছাড়াবে।
নেশা তার জীবন থেকে সব কেড়ে নিয়েছে। আত্মবিশ্বাস, সামাজিক অবস্থান এমনকি সন্তানদের সামনে দাঁড়ানোর সম্মানটুকু নেই, এই মানুষটির।
বাংলাদেশের প্রায় ৮০ লাখ মাদক সেবীর মধ্যে তিনিও আছেন। কথা প্রসঙ্গে জানা যায়, মাদক এখন বেশি হয়, হোম ডেলিভারি পদ্ধতিতে।
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে আশঙ্কা জনক হারে বাড়ছে নারী মাদক সেবীর সংখ্যা। দেশের মোট ইয়াবা সেবনকারীর মধ্যে, ৪৩ শতাংশ নারী। কৌতুহল কিংবা ব্যক্তিগত জীবনের নানা সংকটে, তারা মাদকাসক্ত হয়ে ওঠে।
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোগীদের মধ্যে ইয়াবাসেবীরাই বেশি। যারা বয়সে প্রায় সবাই তরুন।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মাদক বিক্রি নিয়ন্ত্রণে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামার কথা জানালেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
তবুও, কেনো ইয়াবা’র আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা, তার ব্যাখ্যায় বিশ্লেষকরা বলছেন, গডফাদারদের ধরতে না পারাই মূল কারণ।
মাদকের চাহিদা কমাতে না পারলে সাঁড়াশি অভিযানগুলো ব্যর্থ হবে বলেও মনে করেন, বিশ্লেষকরা।