বেসরকারি খাতকে গতিশীল করতে এবং বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর টাস্কফোর্স জোরালোভাবে কাজ করছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরে বিপুল বিদেশি বিনিয়োগও নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ।
নিউজ টোয়েন্টিফোরকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমন একাধিক কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। পাশাপাশি কথা বলেন, ব্যাংক খাতের জালিয়াতি; দুর্নীতি ও উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণের চ্যালেঞ্জসহ আর্থিক খাতের নানা বিষয়েও।
দেশে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং বেসরকারি খাতকে আরো প্রসারিত করতে মহামারীতেও চলমান ছিল বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজ। ২০৩০ সাল নাগাদ সারা দেশে একশতটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার যে মহাকর্মযজ্ঞ তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে সরাসরি কর্মসংস্থান হবে অন্তত ২০ লাখ লোকের। সবমিলে যেখানে কাজের সুযোগ তৈরি হবে ১ কোটি মানুষের।
বেজার সবশেষ হিসাবে, করোনার ১১ মাসেও দেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার। যার সিংহভাগই বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরকে ঘিরে। এর বাইরেও প্রক্রিয়াধীন আছে আরো ২ বিলিয়ন ডলার। তাই বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদে আরো বিপুল বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে এখনো অন্যতম চ্যালেঞ্জ করপোরেট কর হার। প্রতিবেশি ভারত, মালয়েশিয়া কিংবা ভিয়েতনামের তুলনায় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর এখনো সর্বোচ্চ; যা সাড়ে ৩২ শতাংশ। এক্ষেত্রে কর ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন বলে মত দেন এই শিল্পদ্যোক্তা।
আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনা ও ব্যাংক খাতের জালিয়াতি নিয়ে জানান, জালিয়াতি ছিল এবং থাকবে তবে কেউ পার পাবে না বলেও জানান সালমান এফ রহমান।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার পর রপ্তানিতে থাকছে নানা চ্যালেঞ্জ। যা মোকাবেলায় জিএসপি প্লাস সুবিধা ধরে রাখা এবং অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে আনুষ্ঠানিক কাজ চলছে বলেও জানান সালমান এফ রহমান।
বলেন, করোনা পরবর্তী কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ নিয়েও হতাশার কিছু নেই। প্রযুক্তি খাতসহ আরো অনেক খাতে দক্ষ লোকবল তৈরিতে কাজ করছে সরকার।