নিউইর্য়ক পুলিশে পদোন্নতি পেয়ে লেফট্যানেন্ট হয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকান সাজেদুর রহমান। এছাড়াও নিউইর্য়ক পুলিশের সার্জেন্ট হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন আরও ৪ বাংলাদেশি। তারা হলেন – আবু তাহের ফিরোজ, মোহাম্মদ সামসুজ্জামান, রাজুব ভৌমিক ও মোহাম্মদ চৌধুরী।
গত ১৮ই মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে কুইন্সের পুলিশ একাডেমিতে পুলিশ কমিশনার ডেরমট শে’র উপস্থিতিতে তাদেরকে এই পদোন্নতি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লেফট্যানেন্ট সাজেদুর রহমান ১৯৯৭ সালে ডিভি লটারীতে আমেরিকায় অভিবাসী হন। পরে তিনি নিউইর্য়ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ওল্ড ওয়েস্টবারী থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০৮ সালে নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগে (এনওয়াইপিডিতে) পুলিশ অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০১৬ সালে পদোন্নতি পেয়ে সাজের্ন্ট হন। লেফট্যানেন্ট হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার আগে বিগত তিন বছর যাবত তিনি এনওয়াইপিডির ইকোয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপারচুনিটি (ইইও) ডিভিশিনে ইনভেস্টিগেটিভ সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
লেফট্যানেন্ট সাজেদুর রহমান যশোরের বাঘাপাড়ার দহাকুলো গ্রামের মৃত বদর উদ্দিন বিশ্বাস ও প্রয়াত রিজিয়া খাতুনের ছেলে। শাবিপ্রবি’র সাবেক এই মেধাবী ছাত্র যশোরের বাঘারপাড়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তার দুই কন্যা ফাতিমা রহমান ও খাদিজা রহমান এবং সহধর্মিনী হোসনে আরা রহমানকে নিয়ে কুইন্সে বসবাস করেন। কুইন্সের পুলিশ একাডেমীতে তাদের পদোন্নতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের (বাপার) প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন কারাম চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট সার্জেন্ট এরশাদ সিদ্দিকীসহ আরও অনেকে ।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এনওয়াইপিডির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। নিয়মিত এই বাহিনীতে প্রায় চার শতাধিক বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি আমেরিকান ক্যাপ্টেন, ১০ জন লেফটেনেন্ট, ৩২ জন সার্জেন্ট, ১২ জন ডিটেক্টিভ, ২৮৫ জন পুলিশ অফিসার রয়েছেন। সিভিলিয়ান সদস্য যেমন নিউইয়র্ক সিটির ট্রাফিক এজেন্ট, স্কুল সেফটি এজেন্ট, স্কুল ক্রসিং গার্ড হিসাবে সব মিলে ১ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি আমেরিকান সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন নিউইর্য়ক পুলিশ বিভাগে (এনওয়াইপিডি’তে)।