করোনা সংক্রমণ আবারো বাড়তে শুরু করায় উদ্বেগে ছোট, মাঝারি ও বড় ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণীর মানুষ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, জীবনের জন্য জীবিকা সচল রাখতে হবে। তবে এক্ষেত্রে পুরনো অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রযুক্তির নির্ভরতা বাড়ানোর পাশাপাশি হাসপাতালে সেবার সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
সহস্র সঙ্কটেও হাল না ছেড়ে ঘুরে দাড়ানোর গল্প বিস্ময়কর হলেও বারবারই তা করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ!
মহামারীর ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতির অনেক শক্তিধর দেশই যখন ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির পথে তখনো বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির জন্য তা ছিল ইতিবাচক ধারাতেই।
করোনার সাথে লড়াই করে অর্থনীতি যখন খানিকটা গতি পেয়েছে তখন সাম্প্রতিক ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে নতুন উদ্বেগ আর অনিশ্চয়তায় ব্যবসায়ী ও জনমানুষ। মহামারীর এই নতুন ধাক্কা সামলাতে এরই মধ্যে প্রস্তত থাকার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও। অর্থনীতি বিশ্লেষক ও চিকিৎসকরা বলছেন; এমনভাবে কর্মসূচি নিতে হবে যাতে জীবিকার পথ বন্ধ না হয়। এক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
করোনাকালে রপ্তানির শীর্ষ খাত পোশাক শিল্পের বিপর্যয় মোকাবেলায় নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও বন্ধ হয়েছে অনেক ছোট ও মাঝারি পোশাক কারখানা। কমেছে অনেক বড় প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক লেনদেন। এছাড়া চাকরি হারিয়েছেন অনেক পোশাক কর্মীও। তাই সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণ আবারো বড় উৎকন্ঠা ও বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাড় করিয়েছে শ্রমঘন এই শিল্পকে।
বিপর্যস্ত অর্থনীতি টেনে তুলতে সাধারণ মানুষকেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে আরো সচেতন এবং প্রশাসনকে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।