প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে দুই যুগেরও বেশি অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। সম্পদ ও জনবলের সীমাবদ্ধতার মাঝেও উপকূলীয় এলাকায় জনগণের জানমাল রক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মৎস সম্পদ সংরক্ষণ ও অবৈধ কর্মকাণ্ড দমনে সাফল্য দেখিয়েছে এ বাহিনী।
কোস্ট গার্ড সদস্যরা নিজেদের জীবন বাজী রেখে চলেছেন দেশের স্বার্থ রক্ষায়। বিদেশি জেলেদের মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া, জলদস্যুতা রোধ, চোরাচালানসহ সমুদ্র এবং উপকূলীয় এলাকা সমূহে সার্বিক নিরাপত্তা বিধানের গুরু দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ফোর্স। উপকূলের মানুষের কাছে যা এখন এক আস্থার নাম।
ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার পর এখন দেশের সমুদ্রসীমার পরিধি বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে কোস্টগার্ডের টহলযান ও আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি। দেশের সমুদ্রসীমায় পুলিসিং বা মেরিটাইম ‘ল এনফোর্সমেন্টের একমাত্র এজেন্সী কোস্ট গার্ড।
আগে শুধু উপকূল পর্যন্ত এ বাহিনীর আধিপত্য ছিল। এখন গভীর সমুদ্রের সম্পদ সুরক্ষার সক্ষমতা এসেছে। কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক (অপারেশন্স) কমান্ডার এম নুর-উজ জামান বলছেন, সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় আমরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা টহল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি।
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায়ও কোস্ট গার্ড কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। কমান্ডার এম নুর-উজ জামান আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানের নিরাপত্তা জোরদার করতে কোস্টগার্ডের জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভাসানচরের চারপাশে যেন কোন রকম আইনশৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যহত না হয় সে জন্য টহল দেয়া হচ্ছে।
তাছাড়া পরিবেশ সুরক্ষার জন্যও কোস্টগার্ড কাজ করে যাচ্ছে বিশেষায়িত এই বাহিনী।