সুন্দরবন দিবস আজ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনে গেল আড়াই দশকে ২৫ শতাংশ কমেছে ঘন বনের পরিমাণ। প্রধান সুন্দরী গাছ কমেছে প্রায় ৫৩ হাজার হেক্টর বনভূমিতে। পশুর নদীতে তেলবাহী জাহাজ চলাচলে হুমকিতে ফেলেছে সুন্দরবনের জলজ প্রাণীদের অভয়াশ্রম। সুন্দরবনকে বাঁচাতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বরাবরই উপকূলের মানুষের জন্য বুক চিতিয়ে লড়াই করার নাম সুন্দরবন। দুর্যোগে- দুঃসময়ে উপকূলবাসীর আশ্রয় সুন্দরবন। অথচ দুই দশক ধরে সুন্দরবন হারিয়েছে শক্তি, উজাড় হয়েছে হাজারোর বেশি বনভূমি।
কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বনের প্রতি অতিনির্ভরতা ও কিছু মানুষের নির্বিচার কমকাণ্ডে বিপন্ন হচ্ছে সুন্দরবন। হুমকিতে পড়েছে সুন্দরবনের প্রাণীকূলের অভয়াশ্রম।
বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘সুন্দরবনের ভেতরে যে কর্মকাণ্ড হচ্ছে এগুলো করা উচিৎ না। গাছ কেটে ফেলা বা জীব বৈচিত্রের উপর আঘাত আনা সেগুলো বন্ধ করতে হবে। মোটকথা সুন্দরবনকে বাঁচাতে মনুষ্যসৃষ্ট কর্মকাণ্ডগুলো বন্ধ করতে হবে। ‘
ঢাবির সাবেক অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, সুন্দরবনের ভেতরে সরকারের কিছু অসুবিধা আছে, যার কারণে বন্যপ্রাণী হারিয়ে যায়, পাচার হয়, বন্যপ্রাণী হত্যা হয়, বনজ সম্পদ লুটপাট হয়।
সুন্দরবনে রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ। বিশাল এই প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচাতে সরকারকে সুন্দরবন ঘিরে পরিবেশবান্ধব মাষ্টারপ্ল্যান করার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
ঢাবির সাবেক অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, সুন্দরবনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অনুধাবন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।
সুন্দরবনের বন বিভাগের কর্মকর্তা জানান, সুন্দরবন রক্ষায় ১৫৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছেন তারা।