রাজধানীর মিরপুরের শ্যাওড়াপাড়ায় ছুরিকাঘাতে দন্ত চিকিৎসক আহমেদ মাহি বুলবুলের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বুলবুলের মৃত্যুর পেছনে ছিনতাই নাকি অন্য কোন কারণ আছে তা এখনও অজানা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।
রোববার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় কাজিপাড়া বাসস্ট্যান্ডে ডাক্তার বুলবুলকে ৩ জন ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। সাথে থাকা মোবাইল আর নগদ টাকা না নেয়ায় ঘটনা ছিনতাই না কী পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেছে। হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে ডিএমপির মিডিয়া শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, এটি আলোচিত ও স্পর্শকাতর ঘটনা হওয়ায় গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
এদিকে গরীবের ডাক্তার খ্যাত বুলবুলের মৃত্যুর পরই পুলিশ মনিপুর কাঠালতলা থেকে দুলাল নামের এক ব্যক্তিকে ধরে আনে। দুলালের স্বজনরা বলেন, পুলিশ ও স্থানীয় কমিশনার তাদের জানায় দুলালের ছেলে সোহেল ডাক্তার বুলবুল হত্যার সঙ্গে জড়িত। সোমবার সকালে দুলালের স্ত্রী ও ভাই থানায় আসলে তাদেরও আটক করা হয়। পরে মিরপুর ৭ এ একটি বাসা থেকে সাকিব, শাহিন, জুয়েল ও সোহেলকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি মিরপুর থানা পুলিশের কাছে।
ঘটনার সময় ডাক্তারের একটি মোবাইল খোয়া যায়। তবে আরেকটি মোবাইল, টাকা, অন্যান্য জিনিসপত্র অক্ষত ছিল। স্বজনরা জানান, বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ করায় তার শত্রু ছিল। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, এ হত্যা মামলায় চারজনকে শনাক্ত করা গেছে।