রাজধানীর নিউমার্কেট ও আশেপাশের মার্কেটগুলোতে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনকে ১ নম্বর আসামি করে নিউমার্কেট থানা মামলা করেছে পুলিশ।
সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জখম ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা ওই মামলায় মকবুল ছাড়াও আরও ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় আসামি করা হয়েছে নিউমার্কেটের অজ্ঞাত ২০০-৩০০ ব্যবসায়ী ও কর্মচারী এবং ঢাকা কলেজের ৬০০-৭০০ ছাত্র।
এর আগে গত সোমবার রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ান।
পরদিনও দিনভর শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন নিউমার্কেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ উপকমিশনার শাহেনশাহ মাহমুদ। তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এজাহারে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা কলেজের যেসব ছাত্ররা ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুডের দোকান কর্মচারীদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটিতে জড়িয়েছিলেন, তাদের ব্যাপারেও পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাহেনশাহ মাহমুদ।
পুলিশের মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, মিজান ব্যাপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, হেহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।
জানা যায়, ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল নামে যে দুটি ফাস্ট ফুড দোকানের কর্মচারীর মধ্যে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, সেই দোকান দুটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে বরাদ্দ নিয়েছিলেন মকবুল হোসেন। পরে দোকান দুটি তিনি ভাড়া দেন।
মামলার প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘গত চার মাস আমি ওই এলাকায় যাইনি। ইটপাটকেল নিক্ষেপ, জখম, ভাঙচুরের প্রশ্নই আসে না। নব্বইয়ের দশকে আমি সিটি করপোরেশন থেকে দোকান দুটি ভাড়া নিই। ’
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মকবুল হোসেনের রাজনৈতিক পরিচয় আছে। কিন্তু তিনি শুধু তার নামে বরাদ্দ হওয়া দোকান ভাড়া দিয়েছেন। সেই ভাড়া দেওয়া দুই দোকানের কর্মচারীদের বিরোধে যদি তিনি আসামি হন, তাহলে তো সমস্যা। ’