কুয়াকাটা সমুদ্রে সাঁতার কাটতে নেমে নিখোঁজ পর্যটক ফিরোজ সিকদার বাড়ি ফিরেছেন। গতকাল বুধবার তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে মহিপুর থানার পুলিশ। এ সময় ফিরোজের ভাই মাসুদ সিকদারের করা নিখোঁজ ডায়েরি তুলে নেন তিনি। পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আগে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়েছেন ফিরোজ। কলাগাছে ভেসে কুয়াকাটা থেকে চেন্নাই যাওয়া এবং সেখান থেকে ফেরার গল্প রহস্যজনক মনে করছে অনেকে। ফিরোজ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমকলা ইউনিয়নের মৃত মিলন সিকদারের ছেলে। ফিরোজ সাংবাদিকদের জানান, ২৭ মে দুপুরে সমুদ্রে গোসল করতে নামেন তিনি। একপর্যায়ে ঢেউয়ের তোড়ে সমুদ্রের ভেতরে চলে যান। এরপর সেখানে একটি কলাগাছ পেয়ে জীবন বাঁচাতে তার ওপর চড়ে বসেন। সেই কলাগাছে ভেসে থাকা অবস্থায় মাছ ধরা ট্রলারের জেলেরা তাকে তুলে নেয়। পরে তাকে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে দাবি ফিরোজের।সেখান থেকে কিভাবে বা কোন প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরলেন এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কেনো তথ্য দিতে পারেননি ফিরোজ। তার ভাষ্য মতে, নৌবাহিনীর সদস্যরা তাকে বিমানে এবং ট্রেনে বেনাপোল পৌঁছে দেন। তবে দেশে প্রবেশের কোনো কাগজ বা ভারতে ভ্রমণের কোনো নথি (টিকিট বা পারমিট) দেখাতে পারেননি ফিরোজ।আমকলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান মনির বলেন, ‘ফিরোজ বাড়িতে এসে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। তার সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনা ঘোলাটে মনে হয়েছে। তার কোনো কথারই ভিত্তি পাইনি।’ কলাপাড়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি নুরু মাঝি বলেন, ‘লবণাক্ত সমুদ্রের পানিতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ভাসামান থাকলে চেহারা ও ত্বকের দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটবে। কিন্তু ফিরোজের বেলায় কোনো কিছুই স্পষ্ট ছিল না।’ মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, ‘ফিরোজ কুয়াকাটা সৈকত থেকে ভেসে গিয়েছেন কি না সেটা স্পষ্ট না। তবে তিনি বেনাপোল সীমান্ত থেকে মহিপুরে এসেছেন, এটা সত্য। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত আছে। তার ভাই মাসুদ সিকাদার থানায় করা জিডি তুলে নিয়েছেন। আমরা ফিরোজকে তার ভাইয়ের জিম্মায় দিয়েছি।