ঘটনার সূত্রপাত ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’র পোস্ট দিয়ে। নেইমারের পেনাল্টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমটি অফিসিয়াল টুইটে লেখে ‘গাম্বা ওসাকার বিপক্ষে পিএসজির ৬–২ গোলের জয়ে একটি “মুভ” ভাইরাল হওয়ার পথে। নেইমার পেনাল্টি পেয়েছে, ভুভুড়ে সিদ্ধান্ত…।’
সেই টুইটারের জবাব তাৎক্ষণিকভাবেই দিয়েছিলেন নেইমার। জবাবে লিখেছিলেন, ওটা পেনাল্টিই ছিল। তার দাবি, যারা কখনো বলে একটাও কিক করেনি, তারা তার খেলার সমালোচনা করছেন।
এই জবাব দিয়েও যেন নেইমার সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না। আরেক টুইটে তিনি সমালোচকদের কড়া জবাব দিয়েছেন।
নেইমার বলেন, ‘আমি সমালোচনা সহ্য করতে পারি না…একটি প্রতিবেদনে এমন উল্টাপাল্টা বলা হলেও বিরুদ্ধাচরণ করতে পারছি না। বন্ধু, সেই ১৩ বছর বয়স থেকে সমালোচনা শুনে আসছি। অনেক সময়ই চুপ করে ছিলাম। হ্যাঁ, কোনো কিছুর সঙ্গে একমত হতে না পারলে সেটি আমি আবারও বলব। প্রতিটি ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। যা খুশি বলতে পারো, যা শুনতে চাও না, সেটাই শোনো।’
প্রাক মৌসুমের প্রীতি ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ গাম্বা ওসাকাকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে প্যারিস জায়ান্ট পিএসজি। খবরটা স্বাভাবিক ও সহজ। এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা নেইমার।
আর এই গোলের একটা আবার এসেছে প্রথমার্ধে, পেনাল্টি থেকে। আর নেইমারের সেই পেনাল্টি নিয়েই আলোচনা-সমালোচনার শুরু। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলছেন, এই পেনাল্টি পেতেও অভিনয়ের আশ্রয় নিয়েছেন নেইমার। তিনি অহেতুক ডাইভ দিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচের ৩২ মিনিটের সময়। ডি বক্সের মধ্যে বল নিয়ে ঢুকে পায়ের কারিকুরি দেখাচ্ছিলেন তিনি। তখনই স্বাগতিক ক্লাবের জেনতা মুইরা তাকে ঠেকানোর চেষ্টা করেন। নেইমারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিতে জেনতা পা বাড়িয়ে দেন। তখন তার সঙ্গে হালকা স্পর্শ লাগতেই নেইমার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, ব্যথায় নাক-মুখ কুঁচকে পেনাল্টির আবেদন জানান।
যেহেতু ভিএআরের কোনও বিষয় ছিল না তাই জাপানি রেফারি ফুতোশি নাকামুরাও পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে বসেন। সেখান থেকে ম্যাচে নিজের প্রথম এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। এরপরই সমালোচকরা একহাত নিয়েছেন নেইমার ওপর। তাদের বক্তব্য নেইমারের ফাউলটি ছিল অতি রঞ্জিত। তিনি ডাইভ দিয়েছিলেন।