দেশে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে রাজধানীতে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাসচালিত গাড়ী চললেও তেলচালিত গাড়ীর সংখ্যা হাতে গোনা। চালকরা বলছেন, ভাড়া সমন্বয় না হলে আর গাড়ি চালাবেন না। যারা গাড়ি বের করেছেন, তারা বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
যাত্রীরা বলছেন, ছুটির দিন হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও মিলছে না গাড়ি। তেলের দাম বৃদ্ধিতে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও জানান তারা। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীরা। শনিবার সকাল থেকে নগরীর ফার্মগেট, মহাখালী, মিরপুর, গাবতলী, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় এ দুর্ভোগ দেখা গেছে। অফিসগামী লোকজনের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দুই-তিনগুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছে বাসগুলো। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর থেকে রাজধানীতে গাড়ির ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা বাড়ানো হয়। এতে বলা হয়, শনিবার (৬ আগস্ট) ডিজেলের দাম হবে ১১৪ টাকা লিটার, যা এত দিন ৮০ টাকা ছিল। এ ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৪ টাকা। কেরোসিনের দামও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। নতুন দর ডিজেলের সমান, অর্থাৎ ১১৪ টাকা লিটার। সাধারণত, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম সমান হয়। গত রাত ১২টার পর থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হচ্ছে।