কাজের ছেলে লাদেনের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান তৃতীয় লিঙ্গের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মাকসুদুর রহমান ওরফে ডায়না। ডায়নার হাত থেকে বাঁচতে বিয়ে করেন লাদেন। কিন্তু বিকৃত যৌন লালসার জন্য লাদেনকে প্রায়ই জোর করতেন ডায়না।
বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ওয়ারী বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার জিয়াউল আহসান তালুকদার এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন বাসা থেকে ডেকে এনে বন্ধ ঘরে ডায়না নিজের জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করলে দুজনের মধ্যে ঝগড়া বাধে। লাদেন ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে ডায়নার মাথায় আঘাত করলে মারা যায়। এরপর থেকেই লাপাত্তা লাদেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ডায়না দেখতে অবিকল নারীর মত। প্রবাস জীবনে গিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন করে মাকসুদুর রহমান থেকে বনে যান মেঘনা ডায়না। পরিবারের সবাই তাকে জানতো তৃতীয় লিঙ্গের। তিন বছর হল বাংলাদেশে এসেছেন। এখানে এসে গৃহকর্মী লাদেনের সঙ্গে গড়ে ওঠে শারীরিক সম্পর্ক।
পুলিশ আরও জানায়, জোরপূর্বক শারীরিক মেলামেশায় বাধ্য করা হত লাদেনকে। ডায়নার হাত থেকে বাঁচতে বিয়ে করেও রক্ষা হয় না লাদেনের। নিজের যৌন লালসা মেটাতে লাদেনকে প্রায়ই বাসা ডেকে আনত সে। ঘটনার দিন লাদেনকে ডেকে জোরপূর্বক নিজের অনৈতিক চাহিদা মেটাতে লাদেনকে বাধ্য করা হলে, সে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেকে বাঁচাতে হাতুড়ি দিয়ে ডায়নার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর গত ২৭ তারিখ যাত্রাবাড়ীর মেঘনা ডায়নার নিজ বাসা থেকে তার তার গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।