রাজধানীতে যানজটের ভোগান্তি কমাতে পঞ্চমবারের মত বৃত্তাকার নৌপথ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। শুরুতে দুইটি রুটে এই স্পিডবোট চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এতে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া পড়বে পাঁচ টাকার মতো।
তুরাগ, বালু, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা মিলিয়ে মোট ১১০ কিলোমিটার নৌপথ রয়েছে রাজধানীর চারপাশে।
বাণিজ্যিকভাবে এই নৌ পথ ব্যবহার হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। আবার তা যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে চায় সরকার। এর আগে ওয়াটার বাস সার্ভিসের মাধ্যমে চেষ্টা করা হলেও এবার দ্রুতগতির স্পিডবোট দিয়ে এই নদীপথ চালু হচ্ছে। মূলত পদ্মা সেতু হওয়ার পর মাওয়া ঘাটের সেই স্পিডবোটগুলো স্থানান্তর হবে এখানে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ে আবদুল্লাহপুর-কড্ডা এবং আবদুল্লাহপুর-উলুখুল এ দুটি রুটে স্পিডবোট চলাচল করবে। পর্যায়ক্রমে যাত্রী চাহিদার আলোকে কড্ডা-গাবতলী এবং গাবতলী-সদরঘাট এ দুটি নৌরুটে স্পিডবোট চালু করা হবে বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
এদিকে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ইকোপার্কের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইকোপার্কের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিআইডব্লিউটিএ’র টঙ্গী ইকোপার্কটি টঙ্গীর মিরাশপাড়া এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। এটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ইকোপার্ক তৈরির উদ্দেশ্য নদীর তীরভূমি দখল রোধ ও জনগণের কাঙ্ক্ষিত বিনোদনের ব্যবস্থা করা।
বিআডিব্লিউটিএ চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক জানিয়েছেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীটির সংরক্ষণ ও ইকোপার্ক নির্মাণের প্রকল্প নেয় বিআইডব্লিউটিএ। এই প্রকল্পটি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের শতভাগ সফলতা।