অনলাইন ডেস্ক
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মাদারীপুরে চলমান লকডাউন মানছেন না এলাকাবাসী। প্রায়ই অপ্রয়োজনে বাইরে ঘুরাঘুরি করছেন অনেকেই। সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি অনেককেই।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সকালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণে জেলায় অভিযানে নামে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা জানান, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় পুরো জেলায় লকডাউন।
লকডাউন উপেক্ষা করে অনেকেই অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাসী চালায়। এ সময় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল জব্দ ও চালকদের জরিমানা করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় মাদারীপুর জেলার ২২টি ইউনিয়ন ও চার পৌরসভার ২০টি ওয়ার্ড রেডজোন ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে বুধবার দুপুরে এসব এলাকায় বিধি-নিষেধ আরোপ করে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম একটি গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
এতে বলা হয় দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার, ২টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ও সার্বক্ষণিক ওষুধের দোকানসহ জরুরী সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন বহাল থাকবে।
মাদারীপুর জেলায় রেড-জোন এলাকাগুলো হলো, মাদারীপুর পৌরসভার ১ থেকে ৭ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত ও সদর উপজেলার ছিলারচর, ঝাউদি, খোয়াজপুর, ধুইরাইল, মস্তফাপুর নিয়ে মোট ৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। এছাড়া শিবচরের রেডজোনে পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ড, ৮টি ইউনিয়ন।
শিবচর পৌরসভার ১, ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নগুলো হচ্ছে শিবচর, দ্বিতীয়খন্ড, বহেরাতলা দক্ষিন, বাশকান্দি, ভদ্রাসন, কাদিরপুর, মাদবরচর ও পাচ্চর। কালকিনি উপজেলার রেড জোন কালকিনি পৌরসভার ১, ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড এবং ডাসার, গোপালপুর, আলীনগর এবং শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন। রাজৈর উপজেলার মধ্যে রাজৈর পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ড এবং ৪টি ইউনিয়ন লকডাউনের আওতায় রয়েছে।