সাইপ্রাসের ক্লাব ওমোনিয়া। নামটি বেশ অপরিচিত হলেও এবারের উয়েফা ইউরোপা লিগ খেলছে ক্লাবটি। সেই অচেনা-অজানা ক্লাবটির বিপক্ষে জিততেও ঘাম ছুটে গেল রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। বৃহস্পতিবার গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে ইউনাইটেড কষ্টেসৃষ্টে ম্যাচটি জিতেছে ৩-২ গোলে।
সাইপ্রাসের জিএসপি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে ছিল ইউনাইটেড। তবে ৩৪ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে রেড ডেভিলসদের চমকে দেয় ওমোনিয়া। স্কোরশিটে নাম তুলে স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন করিম আনসারিফার্দ। প্রথমার্ধে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি ইউনাইটেডের।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে এরিক টেন হাগের মনে স্বস্তি ফেরান মার্কাস রাশফোর্ড। দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করেন তিনি। ইউনাইটেড এরপর ম্যাচে এগিয়ে যায় বদলি হয়ে নামা অ্যান্থনি মার্শালের গোলে। রাশফোর্ডের ফ্লিক থেকে বল পেয়ে কাছের পোস্ট থেকে বল জালে জড়ান তিনি।
এক গোল, এক অ্যাসিস্টের পরও রাশফোর্ড দমে যাননি। চেষ্টা চালাতে থাকেন ব্যবধান আরও বাড়াতে। সে চেষ্টায় সফলও হন তিনি। ৮৪ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ঠিকঠাক হেড করতে না পারলে বল চলে যায় এই ইংলিশ স্ট্রাইকারের পায়ে। স্রেফ ট্যাপ-ইনে অতিথিদের তৃতীয়বার উল্লাসে ভাসান তিনি।
তবে পরের মিনিটেই ওমোনিয়া ম্যাচ জমিয়ে তোলে। ইউনাইটেডের রক্ষণভাগের ভুলের সুযোগ নিয়ে একটি গোল শোধ দেন নিকোলাস পানাইয়োতু। ওই গোলে স্বাগতিক সমর্থকরা ফের ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখছিল। যদিও ম্যাচের বাকি সময়ে স্কোরলাইনে আর সমতা টানতে পারেননি ওমোনিয়ার আক্রমণভাগ। ফলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে টেন হাগের শিষ্যরা।
অথচ আরও বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত ম্যানচেস্টারের ক্লাবটি। কিন্তু বাজে সময় যেন পিছুই ছাড়ছে রোনালদোর। ম্যাচে তিনি একাধিক গোলের সুযোগ মিস করেন। এর মধ্যে ৭৭ মিনিটে ডিয়েগো দালতের পাস থেকে সামনে গোলমুখ ফাঁকা পেয়েও বল মারেন পোস্টে। ইনজুরি সময়ে গোল মিসের হতাশায় পুড়তে দেখা যায় এই তারকাকে।