বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই পুরো বিশ্বের সমালোচনার মুখে কাতার। গত ১২ বছরে যা একটুও কমেনি, বরং বেড়েছে। ২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কাতারের বিরুদ্ধে অধিকাংশের প্রশ্ন ছিল মানবাধিকার প্রসঙ্গে। তবে এ তালিকায় বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা কোনো দল ছিল না।
অস্ট্রেলিয়া অবশ্য সেই ধারা ভাঙল। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে কাতারের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ ও নারী ফুটবলাররা বিশ্বকাপের অবকাঠামো নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত অভিবাসী শ্রমিক ও এলজিবিটি (সমলিঙ্গ-সম্পর্ক) সম্প্রদায়ের মানবাধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বকাপ শুরুর তিন সপ্তাহ আগে কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে একটি ভিডিও এবং একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ফুটবল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলের অধিনায়ক ম্যাট রায়ান, ডিফেন্ডার বেইলি রাইটসহ ১৬ জন বর্তমান ও সাবেক ফুটবলার ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন।
সেই ভিডিওতে অভিবাসী শ্রমিক ও সমলিঙ্গ-সম্পর্কে বৈষম্যের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা সহজ নয় এবং আমাদের কাছে সব উত্তর নেই। আমরা ফিফপ্রো, বিল্ডিং অ্যান্ড উড ওয়ার্কার্স ইন্টারন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের সঙ্গে একমত হয়ে কাতারে এর সংস্কার করতে চাই। ’
ফুটবল অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতেও একই ধরনের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, কাফালা ব্যবস্থার (শ্রমিকদের ব্যবস্থাপনার নিয়ম) মতো কিছু বিষয়ে সংস্কার আনা হলেও তা যথেষ্ট নয়।
কাতারে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হবে ২০ নভেম্বর। ‘ডি’ গ্রুপে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, তিউনিসিয়া ও ডেনমার্কের সঙ্গে আছে অস্ট্রেলিয়া।