বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে কাতারের সমালোচনা করে চলেছে পশ্চিমা বিশ্ব। মানবাধিকার লঙ্ঘন, সমকামিতা নিষিদ্ধ করাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কাতারের সমালোচনা করে আসছে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৩ হাজার বছর ধরে ইউরোপীয় দেশগুলো বিশ্বব্যাপী যা করেছে তার জন্য সামনের ৩ হাজার বছর ধরে ক্ষমা চাইতে হবে।
তার আগে নৈতিকতা নিয়ে বক্তৃতা দেয়াকে ভণ্ডামি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কাতারে কাজ করা প্রবাসী শ্রমিকদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউরোপীয়রা যদি সত্যিই এই মানুষগুলোর কথা চিন্তা করে তবে কাতারের মত বৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার ব্যবস্থা করুক। যাতে তারা ইউরোপে গিয়ে কাজ করে নিজেদের ভাগ্য বদল করতে পারে।
বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ঘণ্টাব্যাপী সংবাদ সম্মেলনে যতটা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন প্রশ্ন করেছেন তার থেকে বেশি। পুরো সময়জুড়ে কাতারের সমর্থনে কথা বলেছেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আজ নিজেকে আমি কাতারের একজন মনে করছি। মনে করছি আরবি, মনে করছি আফ্রিকান, মনে করছি সমকামী, মনে করছি প্রতিবন্ধী, মনে করছি অভিবাসী শ্রমিক। কিন্তু আমি আসলে কাতারি, আরব, আফ্রিকান, সমকামী বা প্রতিবন্ধী নই। তারপরও কেন এমন মনে করছি?
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন সংশ্লিষ্ট কাজে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সাড়ে ৬ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। কাতারে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে গার্ডিয়ান।
তবে কাতার এ প্রতিবেদনকে বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছে। দেশটির দাবী, নিহতদের সবাই বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট কাজ করতে গিয়ে মারা যাননি। কাতারের দাবী ২০১৪ থেকে ২০২০ এর মধ্যে বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট কাজ করতে গিয়ে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।