কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সোমবার খেলতে নামে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। ম্যাচ শুরুর আগে যখন ইরানের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় তখন চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন দেশটির সব খেলোয়াড়। সাধারণ মানুষের ওপর সরকারের দমন-পীড়নের জবাবে এমন নিরব প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তারা। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি তেহরান।
খবর দ্য গার্ডিয়ান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যদি পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ইরানের খেলোয়াড়রা জাতীয় সংগীতের সঙ্গে ঠোঁট না মেলান তাহলে দেশে ফেরার পর ঝামেলায় পড়তে পারেন তারা। এমনকি গ্রেপ্তারও হতে পারেন।
ইরানের প্রভাবশালী রাজনীতিবীদ ও তেহরান সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেহেদি চামরান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আমরা কখনো কাউকে আমাদের জাতীয় সংগীতকে অপমান করতে দেব না। ইরানি সভ্যতার কয়েক হাজার বছরের ইতিহাস আছে। ইউরোপ ও আমেরিকান সভ্যতার চেয়েও পুরোনো ইরানি সভ্যতা। তার এমন হুমকির পরই ইরানি ফুটবলারদের নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সরকারপন্থি সংবাদমাধ্যম কেহান ফুটবলারদের সমালোচনা করেছে আকার ইঙ্গিতে। তারা বলেছে, প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে ইরানের সাধারণ মানুষের মধ্যে জাতীয় দলের দূরত্ব তৈরি করেছে লন্ডন (যুক্তরাজ্য)।
এদিকে হিজাব পরার বিধান লঙ্ঘনের দায়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানে নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মাহসা আমিনি নামের এক তরুণী। গ্রেপ্তারের তিনদিন পর পুলিশি হেফাজত থেকে কোমায় যাওয়া এই তরুণীর প্রাণহানি ঘটে।
তার মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইরানের সাধারণ মানুষ। ইরানজুড়ে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ-সংঘাত। এ বিক্ষোভ দমনে বেশ কঠোরতা দেখিয়েছে ইরান সরকার।