কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও পুরো সময় খেলা হয়নি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬৫ মিনিটে তাকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়। মাঠ ছাড়ার সময় রোনালদোকে কোনো একটা বিষয়ে বেশ মনঃক্ষুণ্ণ দেখাচ্ছিল। ভাবা হচ্ছিল, কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তিনি।
পর্তুগিজ কোচ সান্তোসের দাবি অবশ্য ভিন্ন। ম্যাচের পর তিনি জানান, রোনালদোর রাগ করার করার আসল ঘটনা। মাঠ ছেড়ে উঠে যাওয়ার সময় রোনালদোর সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন দক্ষিণ কোরিয়ান এক ফুটবলার। সান্তোসের দাবি, রোনালদোর সঙ্গে কোরিয়ান ফুটবলার চো গে সুংয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। যে কারণে অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি।
সান্তোস বলেন, ‘কোরিয়ান এক ফুটবলার রোনালদোকে অপমান করেছিল। সে তাকে বলেছিল দ্রুত মাঠে থেকে বেরিয়ে যেতে। এ জন্যই রোনালদো রাগ করেছিল, সবাই সেটা দেখেছে। তাদের কথা-কাটাকাটি আমিও দেখেছি। আমার এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন, কথা-কাটাকাটি দেখে সেই কোরিয়ান ফুটবলারের দিকে ছুটে যাচ্ছিল পেপে। শরীরী ভাষা আক্রমণাত্মক না থাকলেও তার মুখের ভাষা আক্রমণাত্মক ছিল। ’
এ ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নিজেও। এই তারকা ফরোয়ার্ড পর্তুগিজ এক সংবাদকর্মীকে বলেছেন, ‘চো আমাকে মাঠ ছেড়ে দ্রুত বের হতে বলছিল। আমি তার মুখ বন্ধ রাখতে বলেছি। কারণ, এই কথা বলার সে কেউ না। আমার কোচের সঙ্গে মতবিরোধ হয়নি। ’
গতকাল পর্তুগালের বিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়া নেমেছিল বাঁচা-মরার লড়াইয়ে। পরের রাউন্ডে উঠতে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না এশিয়ার দেশটির সামনে। রোনালদোকে যখন তুলে নেওয়া হয়, তখনো ম্যাচে ১-১ সমতা। আর এভাবে সমতায় ম্যাচ শেষ হলে বাদ পড়ে যেত কোরিয়া। তাই তাদের জন্য প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সম্ভবত সে কারণেই রোনালদোকে দ্রুত মাঠ ছাড়তে বলছিলেন চো গে সুং।
রোনালদো মাঠ ছাড়ার পর ‘এইচ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে কোরিয়া অবশ্য ২-১ গোলের জয় তুলে নেয়। এই জয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও উরুগুয়ের সমান ৪ পয়েন্ট, গোল পার্থক্যও সমান হয়। তবে গ্রুপ পর্বে বেশি গোল করায় গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবে নকআউটের উঠে যায় কোরিয়া। ২০১০ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম নকআউট রাউন্ডে খেলবে এশিয়ার দলটি।