বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে ৩ ঘন্টার ব্যবধানে ৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে চালক ও সুপারভাইজার নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১৪জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশষ্কাজনক।

নিহত বাসের চালক রংপুর জেলার মিঠাপুর থানার কারফিখাল গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে রওশন (৩৫), সুপারভাইজার মাসুদ (২৭)। আহতরা হলেন রনি (২০), ফরিদুল ইসলাম (২০), আল আমিন (২০), ফজলা মিয়া (৫০), আজিদুল ইসলাম (৩০) সিরাজুল ইসলাম (৩৫) এবং পিকআপসহ তিনটি ট্রাকের আহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাত্রি সোয়া ২টা থেকে ভোর সোয়া ৫টা পর্যন্ত দশমাইল, ছোনকা ও ঘোগা বটতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নাবিল পরিবহনের গাড়ীসহ ইউনিয়নের দশমাইল এলাকায় পৌছালে ঢাকাগামী সৃষ্টি পরিবহন মুখোমুখী সংঘর্ষ এতে ঘটনাস্থলে সৃষ্টি পরিবহনের চালক ও সুপারভাইজার মারা যায়।

দুই বাসের ৬ জন আহত হয়, এদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশষ্কাজনক। আহতদের শেরপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করে। এ বিষয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স রতন হোসেন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা এবং নিহতদের উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্থান্তর করেছি।

অন্যদিকে, ভোর সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা বগুড়া মহাসড়ের ছোনকা এলাকায় ঢাকাগামী একটি ট্রাক পিকআপের পেছনে ধাক্কা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরিত গামী অন্য একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমূখী সংঘর্ষ হয়। এতে ৬ জন আহত হয়। আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। ভোর ৪টায় ঘোগা ব্রিজের সামনে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার মাঝে উল্টে চালক ও হেলপার আহত হয়েছে।

তিন ঘন্টার ব্যবধানে তিনটি দুর্ঘটনায় রাস্তায় ব্যপক যানযট সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়ীগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়েছি। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।