স্বাধীনতা বিরোধী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে কোন ভাবেই দেশ সেবার সুযোগ দেয়া যাবে না। এদেরকে কঠোর ভাবে দমন করতে হবে। ১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিলো-সেই আন্তর্জাতিক ও মৌলবাদী অপশক্তি মিলে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক এ রাষ্ট্রকে হত্যা করার উদ্দেশ্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ছিলো। সে কারণেই ১৯৭৫ এরপর স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের চক্রান্তের কারনে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে নিজের স্বত্বাকে বিসর্জন দিয়ে রাষ্ট্রকে পিছন দিকে নিয়ে গিয়েছিল।
সেই সমস্ত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও বিনাশ হয়নি। তারা আবারও ফণা তোলে ছোবল দেবার জন্য। কিন্তু দেশ প্রেমিক জনতার তাদের সে উদ্দেশ্য কখনও সফল হতে দেবে না।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ মিলায়াতনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মণিরামপুর উপজেলা ও পৌর শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি।
মণিরামপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তুলসী দাস বসুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। বিভিন্ন সময়ে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টির যে কোন অপচেষ্টা সরকার কঠোর হাতে দমন করেছে, ভবিষ্যতেও সেটা করা হবে। দেশপ্রেমিক, সাহসী, সৎ, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে আপন করে নেয়ার আশ্চর্য ক্ষমতার বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে অনেক শেখার রয়েছে।
অধ্যক্ষ তাপস কুমার কুন্ডুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুমার কুন্ডু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) পলাশ কুমার দেবনাথ, ওসি রফিকুল ইসলাম, যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক যোগেষ দত্ত।
এ সময় অন্যেন্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সহসভাপতি দুলাল জম্মাদ্দান সম্মাদার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক সুনীল কুমার ঘোষ, সমাজসেবক অরুন কুমার নন্দন, তপন ভট্টাচার্য্য, তরুণ আওয়ামীলীগনেতা অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, জেলা পরিষদের সদস্য গৌতম চক্রবর্তী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার প্রমুখ।
বিকালে দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলদের মতামতের ভিত্তিতে তুলসী দাস বসু সভাপতি, তরুন শীল সাধারন সম্পাদক ও গোপাল দেবনাথকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে উপজেলা কমিটি ও সমীর হালদারকে সভাপতি ও পলাশ ঘোষকে সাধারন সম্পাদক করে পৌর পূজা উদ্যাপন কমিটি ঘোষনা করা হয়।