বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায়ও হুকুমের আসামি করা হয়েছে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে। এছাড়া মামলায় ৯৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসময় তিনি বলেন, ‌এসআই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে সিটি মেয়রকে। তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আরও ৯৪ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩০০ থেকে ৪০০ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বেআইনিভাবে জমায়েত হয়ে মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা, আনসার সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণ, পুলিশের কর্তব্যে বাধা, আক্রমণ, হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণসহ নানা অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে, একই দিন দুপুরে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় আরও একটি মামলা করা হয়। বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে সরকারি বাসভবনে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ এনে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এর আগে বুধবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে কয়েক দফা হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ অন্তত ৩০-৪০ জন আহত হন।